বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এলইডি বাতি

ভালো মানের এলইডি বাতি একদিকে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে, অন্যদিকে পরিবেশের ক্ষতি করে না। ছবি: সংগৃহীত
ভালো মানের এলইডি বাতি একদিকে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে, অন্যদিকে পরিবেশের ক্ষতি করে না। ছবি: সংগৃহীত

শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক কিংবা বাসস্ট্যান্ডে চোখে পড়বে টেবিলের ওপরে কিছু বাতি সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতা আর মাইকে অনবরত বেজেই চলেছে, ‘শুধুমাত্র কোম্পানির প্রচারের জন্য ৩০০ টাকার একটি এনার্জি সেভিং লাইট পাচ্ছেন মাত্র ১০০ টাকায়।’ তবে এসব বাতি কতটা বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও দীর্ঘস্থায়ী, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এসব বাতি প্রতিষ্ঠিত কোনো ব্র্যান্ডের নয়। প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে সবখানেই। ফিলামেন্ট বাতির বদলে এখন জনপ্রিয় হচ্ছে এলইডি বাতি। বাসাবাড়ি, অফিসে প্রতিষ্ঠিত ভালো ব্র্যান্ডের এলইডি বাতির ব্যবহার এখন বাড়ছে। এগুলো এখন মানুষের হাতের নাগালেই পাওয়া যাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপারস্টার লাইটের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী আরিফুল হক বলেন, আগে যেসব লাইট ব্যবহার করা হতো, তাতে বিদ্যুৎ বেশি খরচ হতো আর পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর। এসব লাইট একদিকে যেমন গ্রাহকের বিদ্যুৎ খরচ বাড়িয়ে দিত, তেমনি দেশের বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহার করে জাতীয় ক্ষতি করত। কিন্তু এখন এসেছে এলইডি বাতি। এলইডি বাতি মানেই সাধারণ বাতির তুলনায় ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎসাশ্রয়ী। সুপারস্টার এলইডি বাল্বে ব্যবহৃত হয় এসএমডি চিপ, যা নিশ্চিত করে দীর্ঘস্থায়ী ও সঠিক মাত্রার আলো, যা চোখের জন্য ভালো।

বাজারে কম দামে যেসব বাতি এলইডি বাতি বলে বিক্রি হয়, সেসব বাতি মোটেও বিদ্যুৎসাশ্রয়ী নয় এবং পরিবেশের ক্ষতি করে থাকে। এত সস্তা দামে এলইডি বাতি পাওয়া সম্ভব নয়। এটা একধরনের প্রতারণা।

বাজারে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী বাতি বিক্রির দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ট্রান্সকমের ট্রান্সটেক এলইডি লাইট। জানতে চাইলে ট্রান্সটেকের প্রকৌশলী সুদীপ্ত রায় বলেন, এখন হাতের নাগালেই রয়েছে এলইডি বাতি। এসব বাতি ভালো ব্র্যান্ডের কিনতে হয়। এটি ব্যবহারে লাভ বেশি। এতে বিদ্যুৎ খরচ অনেকটা কমে আসে। চোখের জন্যও এসব বাতি ভালো। কম দামের বাতিতে সস্তা চিপ ব্যবহৃত হয়। খুব অল্প সময়ে এসব বাতির আলো কমে যায় এবং কালো হয়ে যায়। দুই মাস থেকে তিন মাসেই এসব লাইট নষ্ট হয়ে যায়। তখন কিছুই করার থাকে না। কিন্তু ভালো ব্র্যান্ডের লাইট কিনলে এতে ওয়ারেন্টি থাকে ১ বছর থেকে ২ বছর।

ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা আল আমিন বলেন, দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এলইডি বাতি। এটি দেখার পর তিনি আগে বাজার থেকে এলইডি বাতি কিনেছেন। কিন্তু পরপর দুবার সেই লাইট ব্যবহার করে দেখেন, সেগুলো ব্যবহারের কিছুদিন পরই আলো কমে যায়। এ ছাড়া বাতি কালো হয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি ভালো ব্র্যান্ডের এলইডি বাতি কিনছেন। এসব বাতি ব্যবহারে তাঁর বিদ্যুৎ খরচ প্রায় ৫০ শতাংশ সাশ্রয়ী হচ্ছে।