চাঁদের অনেক ছবি হারিয়ে ফেলেছে নাসা

চন্দ্রপৃষ্ঠে পা রাখা দ্বিতীয় মানুষ বাজ অলড্রিন। ছবি: নাসা
চন্দ্রপৃষ্ঠে পা রাখা দ্বিতীয় মানুষ বাজ অলড্রিন। ছবি: নাসা

নিল আর্মস্ট্রং চাঁদে যাওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে একটি কাঠের টুকরো নিয়েছিলেন, যেটা ছিল রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের বিমানের।

যদি চাঁদে যাওয়ার জন্য অ্যাপোলো-১১ মিশন ব্যর্থ হতো, তৎকালীন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের বক্তৃতাও তাহলে ভিন্ন হতো আর সেটি আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল।

মহাকাশচারীরা চাঁদের পৃষ্ঠে মানুষের ছবি এবং বহু ভাষার রেকর্ডিং রেখে এসেছেন।

নিল আর্মস্ট্রং ও এডুইন অলড্রিন চাঁদের পৃষ্ঠে প্রায় পুরো এক দিন কাটিয়েছিলেন, যা আসলে ২১ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট। পুরো অ্যাপোলো-১১ মিশনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময় লেগেছিল ১৯৫ ঘণ্টা, ১৮ মিনিট এবং ৩৫ সেকেন্ড।

মহাকাশচারীরা মাত্র ২৫ সেকেন্ডের মতো চলতে সক্ষম এমন জ্বালানি চাঁদে রেখে এসেছিলেন।

সারা পৃথিবীতে টেলিভিশনে চাঁদে অবতরণের দৃশ্য আনুমানিক ৬০ কোটি মানুষ দেখেছে।

যদিও তিনজন মহাকাশচারীকে চাঁদে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তাঁদের মধ্যে দুজন মাত্র চাঁদে হেঁটেছেন।

চাঁদের ওপর নিল আর্মস্ট্রংয়ের ছবি খুব অল্প আছে।

নাসা চাঁদে যাওয়ার অসংখ্য ছবি ও ভিডিও ফুটেজ হারিয়ে ফেলেছে।

নভোযাত্রীরা চাঁদে একটি আয়না ফেলে এসেছেন।
অ্যাপোলো অভিযানের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল চাঁদের কক্ষপথে ক্রু পাঠানো এবং পৃথিবীতে ফিরে আসা। কিন্তু জন এফ কেনেডি আরও বেশি কিছু প্রত্যাশা করছিলেন।
নিল আর্মস্ট্রং চাঁদে হাঁটা প্রথম মানুষ হতে পারেন কিন্তু বাজ অলড্রিন চাঁদে মূত্রত্যাগ করা প্রথম মানুষ।
যখন আর্মস্ট্রং আর অলড্রিন তাঁদের চাঁদে হাঁটা শেষ করেন, তখন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি মহাকাশযান আকস্মিকভাবে চাঁদে আঘাত হানে।
চন্দ্র অভিযানের আরেক ক্রু মাইকেল কলিন্স আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন, কোনো সমস্যা হয়ে গেছে ভেবেছিলেন এবং মনে করেছিলেন তাঁকে পৃথিবীতে একাই ফিরে যেতে হবে।
আর্মস্ট্রংয়ের ব্যাগে থাকা চাঁদের ধুলাবালি দৈবক্রমে ৯৯৫ ডলারে বিক্রি হয়ে যায়।
বাজ অলড্রিনকে চাঁদে যাওয়ার বিশাল খরচাপাতির হিসাব দেখাতে প্রতিবেদন বানাতে হয়েছিল। এমনকি কাস্টমসের কাগজও পূরণ করতে হয়েছে।
নিল আর্মস্ট্রং চাঁদের মাটিতে পা রাখার কিছুক্ষণ পর স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখেন এক অজানা কারণে। পরবর্তী সময়ে ভীষণ নিভৃত এক জীবন কাটিয়েছেন এই নভোচারী।

সূত্র: ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস, লিটল থিঙ্কস, মেন্টাল ফ্লোস অবলম্বনে