নাসায় সংবর্ধনার জন্য ফের আমন্ত্রণ!

নাসা আয়োজিত স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে প্রতিনিধি হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ৬ কর্মকর্তার পাশাপাশি প্রতিযোগিতার আহ্বায়কেরা অংশ নেন। ছবি: বেসিসের সৌজন্যে।
নাসা আয়োজিত স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে প্রতিনিধি হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ৬ কর্মকর্তার পাশাপাশি প্রতিযোগিতার আহ্বায়কেরা অংশ নেন। ছবি: বেসিসের সৌজন্যে।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হয়েও ভিসা না পেয়ে সেখানে যেতে পারেনি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ সদস্যের টিম ‘অলিক’। তবে তাদের আগামী বছর সংবর্ধনা নিতে ফের আমন্ত্রণ জানাতে পারে নাসা।

নাসার কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেন স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ সফটওয়্যার নির্মাতাদের সংগঠন বেসিসের পরিচালক দিদারুল আলম। আজ বুধবার বেসিসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বেসিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নাসার অনুষ্ঠানে যোগ দেয় টিম অলিক। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ‘বেস্ট ইউজ অব ডেটা’ বিভাগে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) টিম অলিকের তৈরি ‘লুনার ভিআর’ সারা বিশ্বের ১ হাজার ৩৯৫টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বিজয়ী হয়। দলের সদস্যরা হলেন দলের মেন্টর ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী, জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের ছাত্র আবু সাবিক মাহদি, কাজী মইনুল ইসলাম, সাব্বির হাসান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এস এম রাফি আদনান।

নাসার ওই অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীরা যেতে না পারলেও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ছয় কর্মকর্তাসহ আটজন সেখানে গেছেন। প্রাথমিকভাবে সেখানে যেতে বেসিসের পাঁচজনসহ মোট ১৬ জনের একটি তালিকা করা হয়েছিল।

বেসিস সূত্রে জানা গেছে, ২১, ২২ ও ২৩ জুলাই নাসার বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে অংশ নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বক্তব্য নাসার কর্মকর্তা, আয়োজক, বিজয়ী দল ও তাদের লিডদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাসার আর্থ সায়েন্স ডিভিশনের ব্যবস্থাপক সোবহানা এস গুপ্তা, ক্যালি বার্ক, প্রকৌশলী অ্যান্ড্রু ডেনিও প্রমুখ। সেখানে ভিডিও উপস্থাপনার মাধ্যমে বিজয়ীরা কীভাবে তহবিল সংগ্রহ করতে পারবে, সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়। পরে ক্যালি বার্কের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল বৈঠক করেছে। সেখানে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে মূল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করার বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এবারের আয়োজনে প্রতিনিধি হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে ডেপুটি সেক্রেটারি সালমা সিদ্দিকা মাহাতাব, মো. আবুল খায়ের, হাইটেক পার্কের ডেপুটি সেক্রেটারি মো. আবদুল হাই, আইডিয়া প্রোজেক্টের কাজী হোসনা আরা ও আইসিটি ডিভিশনের প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা একরামুল হক যোগ দিয়েছেন। এর বাইরে এবারের প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক বেসিসের পরিচালক দিদারুল আলম ও প্রথমবারের আহ্বায়ক হিসেবে বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান সেখানে গেছেন।

টিম অলিকের পেজে বিজয়ী দলের সদস্য আবু সাবিক মাহদি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘৩০ মে বাংলাদেশ থেকে ১৩ জনের একটা দলের তালিকা কমিউনিটি ম্যানেজারকে পাঠানো হয়। এ সময় তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ থেকে জানানো হয়, আইসিটি ডিভিশন আমাদের সকল খরচ বহন করবে এবং একই সঙ্গে নাসাকে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন। ২৭ জুন আইসিটি ডিভিশন থেকে ৬ জনসহ সর্বমোট ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি পত্র দেওয়া হয়, যাঁদের মধ্যে ১৩ জনের খরচ আইসিটি ডিভিশন বহন করবে।’

আরও পড়ুন