ওয়ালটনের সাশ্রয়ী দামের নতুন স্মার্টফোন

প্রিমো এইচএইট প্রো
প্রিমো এইচএইট প্রো

নচ ডিসপ্লেযুক্ত সাশ্রয়ী মূল্যের নতুন স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে ওয়ালটন। ‘প্রিমো এইচএইট প্রো’ মডেলের ওই ফোনে রয়েছে ৩ জিবি র‍্যাম, ৩২ জিবি রম, অক্টাকোর প্রসেসর, শক্তিশালী ব্যাটারিসহ আকর্ষণীয় সব ফিচার। অনলাইনের ই-প্লাজায় প্রি-অর্ডার বা আগাম ফরমাশ দেওয়া যাবে ফোনটি। এর দাম ৭ হাজার ৪৯৯ টাকা।

ওয়ালটন সেল্যুলার ফোন বিক্রয় বিভাগের প্রধান আসিফুর রহমান খান বলেন, ‘সবার জন্য নচ ডিসপ্লে’ স্লোগান নিয়ে প্রিমো এইচএইট প্রো বাজারে ছাড়া হচ্ছে। নচ ডিসপ্লের সুবিধা হলো—এর মাধ্যমে ফোনের আকৃতি না বাড়িয়ে বড় স্ক্রিনের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়। ফলে ডিভাইসটি যেমন দৃষ্টিনন্দন হয়, তেমনই বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার এবং ভিডিও দেখা, গেম খেলা, বই পড়া বা ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে অনন্য অভিজ্ঞতা মেলে।

ই-প্লাজা. ওয়ালটনবিডি. কম (eplaza. waltonbd. com) ওয়েবসাইট-এর মাধ্যমে ফোনটির আগাম ফরমাশ দেওয়া যাবে। ক্যাশ অন ডেলিভারিতে এবং বিকাশ কিংবা ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্টের সুযোগ আছে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৫টি ফোনের আগাম ফরমাশ দিতে পারবেন। অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে একাধিক ফোনের অর্ডারে ইএমআই (মান্থলি ইক্যুয়াল ইনস্টলমেন্ট) সুবিধা পাবেন ক্রেতারা।

ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, ৫. ৭১ ইঞ্চির এইচডি প্লাস পর্দার রেজ্যুলেশন ১৫২০ বাই ৭২০ পিক্সেল। আইপিএস প্রযুক্তির স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ধুলা ও আঁচড় রোধী ২.৫ডি কার্ভড গ্লাস। ফোনটি অ্যান্ড্রয়েড ৯.০ পাই অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত। এতে ব্যবহৃত হয়েছে ১.৬ গিগাহার্টজ গতির এআরএম কর্টেক্স-এ ৫৫ অক্টাকোর প্রসেসর। সঙ্গে রয়েছে ৩ জিবি ডিডিআর ৪ র‍্যাম এবং পাওয়ার ভিআর জিই ৮৩২২ গ্রাফিকস। ফোনটির পেছনে রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত পিডিএএফ প্রযুক্তির এফ ২.০ অ্যাপারচার সমৃদ্ধ বিএসআই ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। আকর্ষণীয় সেলফির জন্য সামনে রয়েছে পিডিএএফ প্রযুক্তির বিএসআই ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। স্মার্টফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ৩৫২০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি।

কানেকটিভিটি হিসেবে আছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ভার্সন ৪.২, মাইক্রো ইউএসবি ভার্সন ২, ওয়ারলেস ডিসপ্লে, ল্যান হটস্পট, ওটিএ এবং ওটিজি। হ্যান্ডসেটটির অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ডুয়েল সিমে ফোরজি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট, রেকর্ডিং সুবিধাসহ এফএম রেডিও, ফুল এইচডি ভিডিও প্লে-ব্যাক, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ফেস আনলক ইত্যাদি।