পাঠক না যন্ত্র?

মানুষের কণ্ঠ হুবহু নকল করে সংবাদ কিংবা বই পাঠ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি
মানুষের কণ্ঠ হুবহু নকল করে সংবাদ কিংবা বই পাঠ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি

পাঠক হিসেবে কি তবে মানুষের প্রয়োজন ফুরাচ্ছে? সংবাদ পড়ার বেলায় হোক কিংবা অডিও বই তৈরিতে, মানুষের জায়গা নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। গত সপ্তাহে চীনা অনলাইন সাহিত্য সম্মেলনে দেশটির সার্চ ইঞ্জিন সোগো এআইভিত্তিক পাঠক তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।

এআই ব্যবহার করে এমন একধরনের অবয়ব তৈরির কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি, যাতে দেশটির বিখ্যাত দুই লেখকের সঙ্গে মিল থাকবে। এতে অডিও বইয়ের মান আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ জন্য প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে দুজন লেখকের পঠন নিয়ে কাজ করা হবে। যদি সফলতা পাওয়া যায়, তাহলে পর্যায়ক্রমে আরও বেশ কয়েকজন লেখককে নিয়ে কাজ করা হবে বলে সোগো জানিয়েছে।

চীনে অডিও বইয়ের বাজার দিন দিন বেড়েই চলেছে। আইমিডিয়া রিসার্চ গ্রুপের মতে, দেশটিতে আগামী বছর নাগাদ এই বাজার ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এ জন্যই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট সম্ভাবনা নিয়ে আসবে।

‘আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স: এমব্রেসিং হিউম্যানিটি টু ম্যাক্সিমাইজ মেশিনস’ বইয়ের লেখক জন সি হেভেনস বলেন, এটি যদি সফল হয়, তাহলে অ্যালেক্সা, সিরির মতো সহকারীর জায়গায় মানুষ যেমন নিজের কণ্ঠ শুনতে চায়, ঠিক একইভাবে অডিও বইয়ের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হবে।

এ ক্ষেত্রে এআই ব্যবহারের মূল সুবিধা হলো, টেক্সট-টু-স্পিচ প্রযুক্তি ব্যবহার করলে যে একধরনের যান্ত্রিক আবহ আসে, সেটি আর থাকবে না। সরাসরি লেখকের হুবহু কণ্ঠেই তা একজন শ্রোতা উপভোগ করতে পারবেন। এ জন্য লেখককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শ্রমও ব্যয় করতে হবে না।

তবে নতুন প্রযুক্তিগুলো সহজপ্রাপ্য হলে মানুষের মনে হয়তো একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাবে—পাঠক না যন্ত্র? সূত্র: ফরচুন