ভ্যাটিকানে প্রযুক্তি সম্মেলনে আজিজ আহমদ

পোপ ফ্রান্সিসের পৃষ্ঠপোষকতায় এক প্রযুক্তি সম্মেলনে ইউটিসি অ্যাসোসিয়েটসের প্রধান নির্বাহী আজিজ আহমদ। ছবি: ইউটিসি অ্যাসোসিয়েটসের সৌজন্যে
পোপ ফ্রান্সিসের পৃষ্ঠপোষকতায় এক প্রযুক্তি সম্মেলনে ইউটিসি অ্যাসোসিয়েটসের প্রধান নির্বাহী আজিজ আহমদ। ছবি: ইউটিসি অ্যাসোসিয়েটসের সৌজন্যে

ডিজিটাল বিশ্বের নানা সমস্যার সমাধান করতে পারে প্রযুক্তি। বিশ্ব নাগরিকদের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে সম্প্রতি ভ্যাটিকান সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি সম্মেলন। বিভিন্ন বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তিবিদেরা এ সম্মেলনে অংশ নেন। পোপ ফ্রান্সিসের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘দ্য কমন গুড ইন দ্য ডিজিটাল এজ’ শীর্ষক একটি আয়োজনে বক্তা হিসেবে অংশ নেন ইউটিসি অ্যাসোসিয়েটসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও কোডারসট্রাস্টের সহপ্রতিষ্ঠাতা আজিজ আহমদ।

ভ্যাটিকান সিটিতে ২৬ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া তিন দিনের সম্মেলনে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাম্প্রতিক উন্নয়ন, বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে একটি সামাজিক, নৈতিক ও রাজনৈতিক সংলাপ ছিল। এই আয়োজনে ডিজিটাল যুগের অভিন্ন ইতিবাচকতা নিয়ে কথা বলেছেন আজিজ আহমদ। তাঁর ভাষ্য, সম্মানজনক এ আয়োজনে ব্যবসায়ী নেতারা সমস্যার কথা বলেছেন। আমরা এসব সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করার কথা বলেছি। যা বিশ্ব নাগরিকদের কল্যাণে ভূমিকা রাখবে।’

ভবিষ্যতে কাজের ধরন কেমন হবে, সে বিষয়ে ভ্যাটিকান প্রযুক্তি সম্মেলনে আজিজ আহমেদ একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেছেন। এ ছাড়া ইউরোপের সেবাকর্মীদের ইউনিয়ন ইউনি-ইউরোপার অলিভার রোথিগ ও হংকং-ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডিজিনেক্সের ম্যালকম রাইটের সঙ্গে একটি প্যানেল আলোচনাতেও অংশ নিয়েছেন তিনি। আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম কার্যালয়ের প্রতিনিধি আন্না বিওন্ডি।

‘দ্য কমন গুড ইন দ্য ডিজিটাল এজ’ সম্মেলন প্রসঙ্গে পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, ‘মানব সভ্যতা এক নতুন যুগে প্রবেশ করছে। প্রযুক্তি আমাদের সেই যুগ-সন্ধিক্ষণে এনে দাঁড় করিয়েছে। একইসঙ্গে দুইটি শতাব্দীর পরিবর্তনের ঢেউ আমাদের ডিজিটাল যুগের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মানবতার উন্নয়নে এর ভূমিকা অপরিসীম। একইসঙ্গে প্রযুক্তি অর্থনৈতিক ক্ষমতারও উৎস। যাদের হাতে এই ক্ষমতা রয়েছে, তাদের সে ধরনের কোনো প্রশিক্ষণ নেই, যা দিয়ে তারা কল্যাণের পক্ষে এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করবে।’

ইউটিসি অ্যাসোসিয়েটস প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০১ সালে। নিউইয়র্ক-ভিত্তিক সনদপ্রাপ্ত এই প্রতিষ্ঠান সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও সমাধান দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি বিশেষভাবে সুশাসন, ঝুঁকি ও নিশ্চয়তা, ক্লাউড মাইগ্রেশন, উন্নয়ন সম্ভাবনা, গতিশীলতা, সাইবার নিরাপত্তা ও সফটওয়্যার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে থাকে। বাংলাদেশে কোডারসট্রাস্ট তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে।