ক্রিপটোকারেন্সির পথে হাঁটবে না অ্যাপল

অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক। ছবি: রয়টার্স
অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক। ছবি: রয়টার্স

ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপটোকারেন্সি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী টিম কুক জানালেন, ক্রিপটোকারেন্সিতে তাঁদের কোনো আগ্রহ নেই। ডিজিটাল মুদ্রা ক্রিপটোকারেন্সি আনার কোনো পরিকল্পনাও তাঁদের নেই।

সম্প্রতি ফেসবুক ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে ক্রিপটোকারেন্সি ‘লিবরা’ আনার কথা জানিয়েছে। ফেসবুকের এ মুদ্রা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী তাঁদের অবস্থানের কথা জানালেন।

ফ্রান্সের অর্থনীতিবিষয়ক পত্রিকা ‘ইকোস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টিম কুক বলেছেন, একটি কোম্পানি প্রাইভেট গ্রুপ করে সেটা থেকে প্রতিযোগিতা করার জন্য নতুন মুদ্রা আনার পক্ষে নই। কোনো প্রাইভেট কোম্পানির এ প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা অর্জন করার লোভ ত্যাগ করা উচিত। বরং মুদ্রার বিষয়টি রাষ্ট্রের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত।

টিম কুক ফেসবুকের সমালোচনাকারী হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। এর আগে ফেসবুকের প্রাইভেসি ও ব্যবসার মডেল বা পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন তিনি।

জাকারবার্গের সমালোচনায় টিম কুক বলেছেন, মানুষের দেওয়া তথ্য থেকে অর্থ উপার্জনের যে ব্যবসাপদ্ধতি নিয়ে ফেসবুক কাজ করছে, তার জন্যই সমস্যায় পড়েছে ফেসবুক।

ভক্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টিম কুকের মন্তব্যের পাল্টা সমালোচনা করেন মার্ক জাকারবার্গ। বলেন, ‘যে গ্রাহক অর্থ পরিশোধ করে না, তাঁর প্রতি আমরা যত্নশীল হই না—আমার মনে হয় এমন যুক্তির সঙ্গে সত্যের কোনো মিল নেই। আপনি যদি এমন কোনো সেবা দিতে চান, যা পৃথিবীর সবাইকে যুক্ত করে, তবে অনেক মানুষ পাবেন যাদের সে সেবার জন্য মূল্য পরিশোধের সামর্থ্য নেই। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন-সমর্থিত ব্যবসায়িক মডেল একমাত্র যুক্তিসম্মত মডেল, যা এ ধরনের ব্যবসা সমর্থন করতে পারে।’

বর্তমানে ফেসবুক তাদের ক্রিপটোকারেন্সির উন্নয়নে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি সংগঠন তৈরি করেছে।

‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, লিবরা চালু করতে ভিসা, মাস্টারকার্ডসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহযোগী হিসেবে তাদের নেটওয়ার্কে যুক্ত করার কথা জানিয়েছে ফেসবুক।

ফেসবুকের ক্রিপটোকারেন্সির নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে কুকের। তাঁর ভাষ্য, অর্থ ব্যবস্থা হচ্ছে কোনো রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থার মতো, যা রাষ্ট্রের হাতেই রাখতে হবে। আমাদের সত্য-মিথ্যার ফারাক বের করতে হবে।