রাজধানীতে উদ্যোক্তা তৈরির কার্যক্রম

‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি তরুণ উদ্যোক্তা পৃষ্ঠপোষকতা’ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। ছবি: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সৌজন্যে
‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি তরুণ উদ্যোক্তা পৃষ্ঠপোষকতা’ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। ছবি: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সৌজন্যে

রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে গতকাল মঙ্গলবার ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি তরুণ উদ্যোক্তা পৃষ্ঠপোষকতা’ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সরকার চায় তরুণ উদ্যোক্তারা শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে সফল উদ্যোক্তা হবে। একজন উদ্যোক্তা সফল হলে বহু কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সে জন্য সরকার ২০২১ সালের মধ্যে প্রযুক্তিনির্ভর এক হাজার নতুন উদ্যোগ (স্টার্টআপ) তৈরিতে সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, ‘এ ধরনের উদ্যোগ দেশকে উন্নয়নের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।’

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কাজী জামিল আজহার কার্যক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গঠনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন। অর্থনীতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি সীমিত সামর্থ্য দিয়ে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউএস মার্কেট অ্যাকসেস সেন্টারের সিইও ক্রিস বারি। তিনি বলেন, ‘আমি এ পর্যন্ত ৩৭টি দেশে ১০০টির বেশি এ ধরনের অনুষ্ঠান পরিচালনা করে উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তাদের জন্য ৬০ কোটি ৫০ লাখ ডলার সংগ্রহে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করেছি।’ তিনি অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হওয়ার উপায়, ব্যবসা সম্প্রসারণ, মূল্যায়ন, ব্যবসায়ে লাগাতার প্রচেষ্টা ও অধ্যবসায়ের গুরুত্ব, ব্যবসা প্রদর্শনীর আয়োজন ইত্যাদি বিষয়ে বুট ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করার পরিকল্পনার কথা বলেন।