জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা

প্রোগ্রামিং ভাষা। ছবি: গিটহাবের সৌজন্যে
প্রোগ্রামিং ভাষা। ছবি: গিটহাবের সৌজন্যে

গিটহাবকে বলা যায় সফটওয়্যার নির্মাতাদের (ডেভেলপারদের) আড্ডাখানা। তবে আড্ডার ভাষা কিছুটা বিদঘুটে। কারণ, এখানে তাঁরা আলোচনা চালান প্রোগ্রামিংয়ের ভাষায়। গিটহাবে প্রায় চার কোটি ডেভেলপার তাঁদের প্রকল্পের সমন্বয় করেন। বর্তমানে সফটওয়্যার নির্মাতাদের মধ্যে কোন প্রোগ্রামিং ভাষা বেশি জনপ্রিয়, কোন প্রোগ্রামিং ভাষায় তাঁরা কোড লিখছেন, তা গিটহাব কর্তৃপক্ষের চেয়ে ভালো আর কে জানে? ‘দ্য স্টেট অব দ্য অক্টোভার্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রতিবছর জনপ্রিয়তম ১০ প্রোগ্রামিং ভাষার তালিকা প্রকাশ করে তারা। এ বছরের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে গত সপ্তাহে। গত বছরের মতো এবারও প্রথম স্থানে জাভাস্ক্রিপ্ট থাকলেও পাইথন উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে।

১. জাভাস্ক্রিপ্ট
ওয়েবসাইট তৈরির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। গেম তৈরিতেও কাজে লাগে। নামে মিল থাকলেও জাভার সঙ্গে কাজে মিল খুব কম।

২. পাইথন
ইদানীং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যাপ ও ডেটা বিজ্ঞানে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। সহজে শেখা যায়। বড়সড় কমিউনিটি আছে। 

৩. জাভা
টুইটার ও নেটফ্লিক্স জাভায় তৈরি। মোবাইল ও ওয়েব অ্যাপ, গেম, ডেটাবেসনির্ভর সফটওয়্যার তৈরিতে বেশি কাজে লাগে। 

৪. পিএইচপি
বিশেষ করে ওয়েবসাইট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। ডেটাবেসের সঙ্গে কাজ করতে সুবিধা। ফেসবুক-ইয়াহু পিএইচপিতে তৈরি। 

৫. সি শার্প
এটিও মাইক্রোসফটের তৈরি। জাভার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। মোবাইল অ্যাপ, গেম ও এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার তৈরিতে কাজে লাগে। 

৬. সি++
১৯৭৯ সালে সি প্রোগ্রামিং ভাষা থেকে তৈরি করেন বিয়ার্নে স্ট্রভসট্রুপ। অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজার ও গেম তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে। 

৭. টাইপস্ক্রিপ্ট
নির্মাতা মাইক্রোসফট। জাভাস্ক্রিপ্টের সঙ্গে মিল আছে। বেশ শক্তিশালী। বড়সড় সফটওয়্যার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। মুক্ত সোর্স। 

৮. শেল
প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগের কাছে বেশ জনপ্রিয়। কারণ, দূর থেকে অপারেটিং সিস্টেমকে নির্দেশনা দিতে ব্যবহার করে তারা। 

৯. সি
প্রোগ্রামিংয়ের সাধারণ ভাষা। ১৯৭২ সালে তৈরি করেন ডেনিস রিচি। অনেক জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষার উৎপত্তি হয়েছে সি থেকে। 

১০. রুবি
পছন্দের প্রোগ্রামিং ভাষার সেরা অংশগুলো নিয়ে ১৯৯৫ সালে তৈরি করেন ইউকিহিরো মাতসুমোতো। ওয়েবসাইট তৈরিতে বেশি কাজে লাগে।