ইন্টারনেটের বিকল্প ব্যবস্থা পরীক্ষা করল রাশিয়া

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এএফপি ফাইল ছবি
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এএফপি ফাইল ছবি

অনলাইন জীবনযাত্রায় দেশের নাগরিকদের ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় রাশিয়া। এ কারণে দেশটিতে ইন্টারনেট স্বাধীনতাসংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর আওতায় দেশজুড়ে বৈশ্বিক ইন্টারনেটের বিকল্প একটি পদ্ধতি সফলভাবে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। রাশিয়ার সরকার গতকাল মঙ্গলবার এ ঘোষণা দিয়েছে।

বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিকল্প ইন্টারনেট ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে দেশটির সরকারি ওই বিভাগ বলেছে, সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের কোনো পার্থক্য বুঝতে পারবেন না। এ পরীক্ষার ফলাফল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে পেশ করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা এভাবে ভেঙে ফেলার বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

যুক্তরাজ্যের সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞানী অধ্যাপক অ্যালান উডওয়ার্ড বলেন, দুঃখজনকভাবে রাশিয়ার পদক্ষেপ ইন্টারনেট ভেঙে ফেলাকে ত্বরান্বিত করার আরেকটি উদ্যোগ। যেসব কর্তৃত্বপরায়ণ দেশ নাগরিকদের ওপর অধিক নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তারা এ পথে হাঁটে। ইরান ও চীন তারই উদাহরণ। এর অর্থ হচ্ছে, দেশের মধ্যে কোথায় কী ঘটছে, সে বিষয়ে মানুষকে সঠিক তথ্য জানতে না দেওয়া। তাদের নিজেদের মতবাদের ওপর জনগণকে আটকে রাখা।

বিকল্প ইন্টারনেট ব্যবস্থায় জনগণ কী দেখবে, তার নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে চলে যায়। এতে আইএসপি ও টেলকোকে তাদের ইন্টারনেটকে কনফিগার করে বড় করপোরেশনের মতো করে চালানো হয়। সমুদ্রের নিচের ইন্টারনেট কেবলের সংযোগস্থলে বাধা দিয়ে বা নিয়ন্ত্রণ করে সরকার এ কাজ করতে পারে। এতে স্থানীয় আইএসপির সহযোগিতা লাগে।

রাশিয়ার নতুন এ উদ্যোগের ফলে দেশটির নিজস্ব প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হবে। ইতিমধ্যে ইয়ানডেক্স, মেইল ডটআরইউয়ের মতো সিস্টেম তৈরি করে প্রযুক্তি জগতে এগিয়ে রয়েছে রাশিয়ান। ইতিমধ্যে রাশিয়ান নিজস্ব উইকিপিডিয়া তৈরি এবং রাশিয়ার তৈরি সফটওয়্যার প্রিইনস্টল না থাকলে স্মার্টফোন বিক্রি বন্ধ করার মতো নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।