যেখানে সত্য নাদেলা ও জেফ বেজোস এক

সত্য নাদেলা ও জেফ বেজোস। ছবি: রয়টার্স
সত্য নাদেলা ও জেফ বেজোস। ছবি: রয়টার্স

কাজ ও ব্যক্তিজীবনের মধ্যে ভারসাম্য নিয়ে সব সময় একটা বিতণ্ডা থেকেই যায়। বিশেষ করে বড় কোনো পদে থাকলে তো বটেই। মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলা সম্প্রতি এ নিয়ে কথা বলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সাক্ষাৎকারে নাদেলা সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি কাজ ও ব্যক্তিজীবন আলাদা করেন না, বরং এ দুটির যুগলবন্দী নিয়ে ভাবেন।

‘আমি সব সময় ভাবতাম, আপনাকে আরাম-আয়েশ এবং কাজের মধ্যে ভারসাম্য খুঁজে নিতে হবে।’ সমীকরণটা এখন মাইক্রোসফট-প্রধান ভিন্নভাবে সমাধান করতে চান, ‘যা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, আমার আগ্রহ আছে যাতে, সেগুলো সঙ্গে এখন আমি আমার কাজের সমন্বয় করার চেষ্টা করি।’

নাদেলার এই তত্ত্বের সঙ্গে একমত পোষণ করেন আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজোস। কিছু সময়ের জন্য বিল গেটসের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মানুষের তকমা হারিয়ে পুনরায় মুকুট ফিরে পেয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে জেফ বেজোস বলেছিলেন, ‘আমি “ভারসাম্য” শব্দটির জায়গায় “ঐকতান” বেশি পছন্দ করি। কারণ, ভারসাম্য সচরাচর ছাড় দেওয়া অর্থে ব্যবহার করা হয়।’ তাঁর ভাষায়, এটি আসলে একটি বৃত্ত, ভারসাম্য নয়।

বেজোস আরও জানান, তিনি যদি কর্মক্ষেত্রে খুশি থাকেন তো ঘরেও ভালো থাকেন। মানে ‘একজন ভালো স্বামী ও একজন ভালো বাবা।’ আর তিনি যদি নিজ গৃহে খুশি থাকেন, তো আরও স্পৃহা নিয়ে তিনি কর্মক্ষেত্রে যান। তাঁর ভাষায়, ‘একজন ভালো কর্মী ও একজন ভালো সহকর্মী।’

কাজ ও ব্যক্তিজীবনের মধ্যে ঐকতানের গুরুত্ব নিয়ে সত্য নাদেলাও কথা বলেন। জানান, এটা শুধু সন্তোষ নয়, তাঁর কর্মশক্তিও বাড়িয়ে দেয়। বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তি খাতের দুই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী যখন ভারসাম্যের বদলে ঐকতানের কথা বলেন, তখন সে বিষয়টা নিশ্চয়ই ভাবার বিষয়। সূত্র: গ্যাজেটসনাউ