নতুন বছর নতুন ফেসবুক

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: রয়টার্স
ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: রয়টার্স

প্রতিবছর ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ নতুন একটা চ্যালেঞ্জের কথা জানান। এর আগে মান্দারিন শেখা, নিজের হাতে শিকার করা প্রাণীর মাংস খাওয়ার মতো নানা চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন তিনি। ২০২০ সালে এসে তিনি এ চ্যালেঞ্জ নেওয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন। এবার তিনি পুরো এক দশকের একটি পরিকল্পনার কথা জানালেন।

তবে এবারের পরিকল্পনা ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়। ২০২০ সালের চ্যালেঞ্জ হিসেবে জাকারবার্গ জানালেন তিনি সামাজিক যোগাযোগের ভবিষ্যৎ নিয়ে কাজ করবেন।

ফেসবুকের জন্য ১০ বছরের একটি লক্ষ্যের খসড়া তৈরির কথা বলেছেন জাকারবার্গ। তিনি বলেন, ‘আমি বার্ষিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে খুশি ছিলাম। তবে এখন ভিন্ন কিছু করার সময়। এ দশকে আমি দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।’

ফেসবুকের জন্য টালমাটাল কিছু সময় যাওয়ার পর একে নতুন করে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনাতেই জাকারবার্গ বেশি মনোযোগী হবেন। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায়, তরুণ মার্কিনদের মধ্যে এখনো ফেসবুকের জনপ্রিয়তা থাকলেও ফেসবুক ব্যবহারকারী ধীরে ধীরে কমছে। ২০১৭ সালের তুলনায় ফেসবুক ব্যবহারকারী দেড় কোটি কমেছে।

জাকারবার্গ বুঝেছেন ব্যবহারকারীরা পরিবর্তন চাইছেন। বিশেষ করে বিশাল অনলাইন কমিউনিটির চেয়ে আরও বেশি প্রাইভেট নেটওয়ার্ক হিসেবে ফেসবুককে চাইছেন এর ব্যবহারকারীরা। তাই তিনি ফেসবুককে ভবিষ্যতে ‘নতুন প্রাইভেট সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে’ রূপ দিতে চান। তিনি সব ছোট ছোট কমিউনিটিকে নতুন করে গড়ে তুলতে কাজ করবেন।

বেশ কিছুদিন ধরেই জাকারবার্গ ফেসবুক ঘিরে যেসব কথাবার্তা বলছেন, আগামী এক দশকের পরিকল্পনায় সেসব বিষয়ই ঘুরেফিরে এসেছে। গত বছরে ফেসবুকের বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলন এফ-৮-এ তিনি ঘোষণা দেন, ভবিষ্যৎ হচ্ছে প্রাইভেট। এরপর তিনি মেসেঞ্জারে পরিবর্তন আনেন। এ ছাড়া ফেসবুকে বন্ধু ও আত্মীয়দের বেশি গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়। তিনি ফেসবুককে ‘ডিজিটাল লিভিং রুম’ সেবা হিসেবে দেখতে চান। তথ্যসূত্র: জেডডিনেট।