বিগ ডেটার ছোট কথা শোনালেন গবেষকেরা

‘বিগ ডেটার ছোট কথা’ অনুষ্ঠানের তিন আলোচক। বাঁ থেকে সাবহানাজ রশীদ, মইনুল ইসলাম জাবের এবং জায়মা ইসলাম। ছবি: প্রথম আলো
‘বিগ ডেটার ছোট কথা’ অনুষ্ঠানের তিন আলোচক। বাঁ থেকে সাবহানাজ রশীদ, মইনুল ইসলাম জাবের এবং জায়মা ইসলাম। ছবি: প্রথম আলো

শীতের প্রকোপ অনেকটাই কমেছে। ঘড়ির কাঁটায় বেলা তিনটা ছুঁই ছুঁই। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা সব এসে জড়ো হচ্ছেন রাজধানীর কারওরান বাজারের সিএ ভবনে। ‘বিগ ডেটার ছোট কথা: মেশিন লার্নিং থেকে নীতিনির্ধারণে ডেটার ব্যবহার ও ক্যারিয়ার’ শিরোনামে পাবলিক লেকচারের আয়োজন করেছিল বিজ্ঞানচিন্তা।

আয়োজনে আলোচক হিসেবে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ডেটা সায়েন্টিস্ট ফেলো সাবহানাজ রশীদ। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মইনুল ইসলাম জাবের এবং দ্য ডেইলি স্টারের ডেটা সাংবাদিক জায়মা ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রথম আলোর একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম। তিনি বলেন, ‌‘আমরা প্রতিদিন যা যা করি, যেমন মোবাইল ফোনে কল করি বা মেসেজ দিই। এতে প্রচুর তথ্য লুকিয়ে থাকে। গুগল বা ফেসবুক এই তথ্য ব্যবহার করে এত স্মার্ট আচরণ করে। বিজ্ঞান জানলে আমাদের ছেলেমেয়েরাও এমন স্মার্ট হতে পারবে।’

‘বিগ ডেটার ছোট কথা’ অনুষ্ঠানে দর্শকেরা। ছবি: প্রথম আলো
‘বিগ ডেটার ছোট কথা’ অনুষ্ঠানে দর্শকেরা। ছবি: প্রথম আলো

এরপর আলোচনা করেন জায়মা ইসলাম। তিনি বলেন, কীভাবে নানা রকম ডেটা সাংবাদিকতায় ব্যবহার করা যায়। তিনি স্লাইড শোর মাধ্যমে দেখান, ঢাকা শহরের কোন কোন এলাকায় বহুতল ভবনগুলো আগুনের জন্য ঝুকিপূর্ণ আর কোন কোন এলাকা নিরাপদ। তিনি বলেন, ওষুধ বা চিকিৎসাক্ষেত্রে ডেটা সায়েন্স এখন অনেক বড় ভূমিকা রাখছে।’

ডেটার ইতিহাস দিয়ে শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মইনুল ইসলাম জাবের। কোনো ধরনের তথ্য আমরা খুঁজব বা কীভাবে তথ্য খুঁজব, এসব নিয়েও তিনি কথা বলেন। এ ছাড়া অনেক তথ্য একত্র করে কীভাবে কাজ করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।

‘বিগ ডেটার ছোট কথা’ অনুষ্ঠানের তিন আলোচকের সঙ্গে বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম। ছবি: প্রথম আলো
‘বিগ ডেটার ছোট কথা’ অনুষ্ঠানের তিন আলোচকের সঙ্গে বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম। ছবি: প্রথম আলো

সর্বশেষ আলোচক ছিলেন ডেটা সায়েন্টিস্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ফেলো সাবহানাজ রশীদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের চারপাশে অসংখ্য ডেটার ছড়াছড়ি। এই ডেটা কীভাবে ব্যবহার করতে হবে বা অনেক তথ্য একত্রে কীভাবে কাজ করে, তা জানা জরুরি। এ ছাড়া ডেটা সায়েন্স শিখতে হলে বেসিক স্ট্যাটিস্টিক, মাইক্রোসফট এক্সেল সম্পর্কে অবশ্যই ধারণা থাকতে হবে।’

এরপর শুরু হয় প্রশ্ন-উত্তর পর্ব। শিক্ষার্থীরা ডেটাভিত্তিক বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। বাংলাদেশে বিগ ডেটা নিয়ে কোন সেক্টরে চাকরির সুযোগ আছে? বাংলাদেশের প্রাইভেট সেক্টরে ডেটা সায়েন্সের ভবিষ্যৎ কী বা ডেটাকে কার্যকর করতে বিগ ডেটার প্রয়োজনীয়তা কী? এ ধরনের অনেক প্রশ্ন করেন দর্শকেরা। সেসব প্রশ্নের সুন্দর ব্যাখ্যা দেন আলোচকেরা।