ব্যাগভর্তি মাস্কে উৎপাদন সচল

কারখানা সচল রাখতে কর্মীদের ব্যাগভর্তি মাস্ক দেয় মালয়েশীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কিউডস
কারখানা সচল রাখতে কর্মীদের ব্যাগভর্তি মাস্ক দেয় মালয়েশীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কিউডস

জানুয়ারিতে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। তবে করোনা-আতঙ্কের চেয়েও তখন মালয়েশীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কিউডসকে ভাবিয়ে তোলে উৎপাদন বন্ধের চিন্তা। চীনে তাদের কারখানা সচল রাখতে ৮০০ কর্মীর জন্য পর্যাপ্ত সার্জিক্যাল মাস্ক প্রয়োজন। অথচ চীনে তখন মাস্কের তীব্র সংকট।

কিউডসের মূল কাজ হলো, নমনীয় সার্কিট বোর্ড মুদ্রণ করা। বিশ্বের বড় ১০ স্মার্টফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পাঁচটির কাছে এই সার্কিট বোর্ড সরবরাহ করে কিউডস। কোথায় তারা যন্ত্রাংশ নিয়ে ভাববে, তাদের ভাবতে হলো মাস্কের সরবরাহ নিয়ে। সেই ভাবনা নিয়ে মাথায় হাত রেখে অবশ্য বসে থাকেনি তারা।
চান্দ্রবর্ষের নববর্ষ উপলক্ষে চীনের শিয়ামেনের কারখানাটি বন্ধ করে দেয় কিউডস। মালয়েশীয় কর্মীরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। তবে ছুটি শেষে চীনে ফেরার সময় মালয়েশিয়া থেকে ওই কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বাক্সপেটরা ভর্তি করে মাস্ক দিয়ে দেয় কিউডস। যতটা সম্ভব তত। কিউডস গ্রুপের প্রধান নির্বাহী জেফরি হোয়াং বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘বহু মালয়েশীয় কর্মী পরিবারসহ আসছেন-যাচ্ছেন। সুতরাং পরিবারপ্রতি দেড় শ কেজি মাস্ক! মাস্ক ছাড়া কর্মীরা কাজে যেতে পারছেন না।’
অবশেষে শিয়ামেনের কর্মীদের জন্য ৫০ হাজার মাস্ক জোগাড় করে কিউডস। এ দিয়ে অন্তত মার্চের শেষ নাগাদ চলে যাবে। ভাইরাসের প্রতিরক্ষামূলক নিয়মকানুন ঠিকঠাক মেনে চলায় চান্দ্রবর্ষের নববর্ষের ছুটি শেষে পুনরায় কারখানা চালুর অনুমতি পায় কিউডস। গত মাসে এক চীনা টিভি চ্যানেল কিউডসকে নিয়ে সংবাদও প্রচার করে।
প্রতিদিন প্রত্যেক কর্মীকে একটি থ্রি-প্লাই ও একটি টু-প্লাই মাস্ক সরবরাহ করে কিউডস। সকাল থেকে থ্রি-প্লাই মাস্ক পরে কাজ শুরু করেন কর্মীরা। টু-প্লাই মাস্কটি ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয় না বলে দিনের শেষভাগে প্রথম মাস্কটির ওপরে পরেন তাঁরা। সূত্র: রয়টার্স