করোনাভাইরাসের সহজলভ্য ওষুধের কথা বলছেন ইলন মাস্ক

টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক
টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক

টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক প্রযুক্তি দুনিয়ায় ইতিমধ্যে ‘বাকপটু’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। তর্ক-বিতর্কের ধার না ধরে নিজের মতামত জানাতে তিনি কখনো পিছপা হন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) যখন করোনাভাইরাসকে বিশ্বজুড়ে মহামারি হিসেবে ঘোষণা দিল, তখন এ নিয়েও তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এক সপ্তাহ আগে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়া বোকামি বলে টুইট করেছিলেন, তা সমালোচিতও হয়েছেন। এবারে তিনি করোনাভাইরাসের ওষুধের সন্ধান পাওয়ার কথা বললেন।

এক টুইটে ইলন মাস্ক বলেন, তাঁর কাছে মনে হয়েছে, এমন একটি ওষুধ রয়েছে, যা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করতে পারে। টুইটারে ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটি গবেষণাপত্রকে উদ্ধৃতও করেছেন তিনি।

ওই গবেষণাপত্র অনুযায়ী, মাস্ক বলেছেন, ক্লোরোকুইন নামের ওষুধ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে পারে এবং এটি কোভিড-১৯–এর বিরুদ্ধে কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। ওই টুইটের সঙ্গে ওই গবেষণাপত্রের গুগল ডকস লিংকও শেয়ার করেছেন তিনি।

ওই গবেষণাপত্রটির শিরোনাম ‘অ্যান ইফেক্টিভ ট্রিটমেন্ট ফর করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)’। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন, ইউএবি স্কুল অব মেডিসিন, ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সের রিসার্চারসের পরামর্শে গবেষক জেমস এম টোডারো ও গ্রেগরি জে রিগানো এ গবেষণা করেছেন।

ওই গবেষণার সারসংক্ষেপ হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীন থেকে সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের সাম্প্রতিক নির্দেশিকা বলছে যে ক্লোরোকুইন করোনোভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি চিকিৎসা। এ ওষুধ সেবনে রোগী দ্রুত সেরে উঠছে এবং হাসপাতালে কম সময় থাকতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) গবেষণায় দেখা গেছে, পরীক্ষাগারে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রোফিল্যাকটিক (প্রতিরোধমূলক) ব্যবস্থা হিসেবে ক্লোরোকুইনের শক্তিশালী সম্ভাবনা রয়েছে। ক্লোরোকুইন একটি সস্তা, বিশ্বব্যাপী সহজলভ্য ওষুধ, যা ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্ন রোগে ১৯৪৫ সাল থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে।