ড. ইগনাজ সেমেলওয়েসকে সম্মান জানাল গুগল

গুগল ডুডলে ড. ইগনাজ সেমেলওয়েস
গুগল ডুডলে ড. ইগনাজ সেমেলওয়েস

করোনা মহামারির মধ্যে জীবাণু সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা সঠিকভাবে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। গুগল ডুডলের মাধ্যমে সঠিকভাবে হাত ধোয়ার নিয়মকানুন তুলে ধরছে গুগল। এর মাধ্যমেই হাত ধোয়ার ক্ষেত্রটির অগ্রদূত ড.ইগনাজ সেমেলওয়েসকে সম্মান জানাচ্ছে গুগল।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট জানিয়েছে, জীবাণু ছড়ানো ঠেকাতে কীভাবে হাত ধুতে হবে, অ্যানিমেটেড ডুডলের মাধ্যমে তা–ই তুলে ধরা হচ্ছে।

জার্মান-হাঙ্গেরীয় চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী ড. ইগনাজ সেমেলওয়েস ‘মায়েদের ত্রাণকর্তা’ হিসেবে পরিচিত। তিনি ১৮৪৭ সালে প্রথম হাত ধোয়ার অভ্যাস তৈরির প্রস্তাব করেন। গতকাল শুক্রবার থেকে দেখানো গুগলের অ্যানিমেটেড ডুডলে সঠিক নিয়মে হাত ধোয়ার পাশাপাশি তাই তাঁকে সম্মান জানানো হচ্ছে। ১৭৩ বছর আগে ভিয়েনা জেনারেল হাসপাতালে তিনি প্রধান আবাসিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান এবং সেখানে মায়েদের মৃত্যুর সঙ্গে হাতের জীবাণু সংক্রমণের বিষয়টি আবিষ্কার করেন। তিনি দেখতে পান, ‘চাইল্ডবেড ফিভার’ নামের একটি সংক্রমণের কারণে ম্যাটার্নিটি ওয়ার্ডে মায়েদের বেশি মৃত্যু ঘটছে।

ইগনাজ লক্ষ করলেন, যেসব ডাক্তার প্রসূতিদের দেখছেন, তাঁরা আগে কোনো রোগীদের অপারেশন করে এসেছেন। হাতে থাকা অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া নিয়েই আবার সেই মাকে দেখছেন। ফলে তিনিও সংক্রমিত হচ্ছেন। তাঁর পর্যবেক্ষণের বিষয়টি সে সময় প্রত্যাখ্যানও হয়। ইগনাজ ১৮৪৭ সালে ভিয়েনা জেনারেল হাসপাতালে স্টাফদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেন। এরপর থেকে মৃত্যুহার কমতে থাকে। ১৮৪৭ সালের মে মাসে হাত ধোয়ার বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গ্রহণের আগে ক্লিনিকে মৃত্যুর হার ছিল ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ, যা পরের বছরে নেমে আসে মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশে।

গুগল বিভিন্ন উৎসব, দিবস, বিশিষ্ট ব্যক্তির জন্মদিনসহ নানা আয়োজনে ডুডল তৈরি করে।

এখনকার করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মানুষে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পেছনে ছুটছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বলছে, ২০ সেকেন্ড ভালোভাবে হাত ধোয়াটা সবচেয়ে ভালো।