মোবাইল ফোনের ক্রেতা কই?

স্মার্টফোন বিক্রি কমে গেছে।
স্মার্টফোন বিক্রি কমে গেছে।

করোনাভাইরাসের মহামারিতে মানুষ এখন উদ্বেগে। এর প্রভাব পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যেও। যে স্মার্টফোনের বাজার ছিল রমরমা, এর অবস্থা এখন যাচ্ছেতাই। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট বলছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বিক্রি গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ১৪ শতাংশ কমে গেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্মার্টফোনের বাজার চীনেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। করোনার উৎপত্তিস্থল হিসেবে পরিচিতি পাওয়া চীনে গত মাসেই স্মার্টফোন বিক্রি কমেছে ৩৮ শতাংশ।

কাউন্টারপয়েন্টের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে মানুষের উদ্বেগের কারণে অনেক বাজারে স্মার্টফোন বিক্রি কমে গেছে। এ সময় অনলাইনে বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। চীনের বাজারে অফলাইনে স্মার্টফোন বিক্রি কমেছে ৫০ শতাংশ। তবে অনলাইন বিক্রি বাড়ায় গড়ে স্মার্টফোন বিক্রি কমেছে ৩৮ শতাংশ।

বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফেব্রুয়ারি মাসকে স্মার্টফোন উৎপাদনের মাস বলা হয়। স্মার্টফোন বাজারে আনার বা সরবরাহের বিষয়টি এ ফেব্রুয়ারি মাসেই এবার সবচেয়ে কমতে দেখা গেল। এক বছর আগের তুলনায় এ সময় স্মার্টফোন সরবরাহ ১৮ শতাংশ কমেছে।

কাউন্টারপয়েন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গবেষণা পরিচালক পিটার রিচার্ডসন বলছেন, অনেক মানুষ এখন আইসোলেশনে আছেন বা দূরে থেকে কাজ করছেন। তাই অনেকেই এখন স্মার্টফোন কিনতে দেরি করছেন। তাঁদের মধ্যে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে একসময় তাঁরা আবার ফোন পরিবর্তন করার কথা ভাববেন। এর অর্থ স্মার্টফোন বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে না।

কাউন্টারপয়েন্টের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বেশি প্রভাব চীনের সাপ্লাই চেইনের ওপর পড়ায় স্যামাসং ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনের চাহিদা স্থিতিশীল রয়েছে। এখনো স্মার্টফোন বাজারের ২২ শতাংশ দখলে রেখে বাজারের শীর্ষে রয়েছে স্যামসাং। অ্যাপলের সাপ্লাই চেইনে কিছুটা প্রভাব পড়ায় তাদের স্মার্টফোন বিক্রিতে প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি