স্মার্টফোনের বাজারে এখন কী অবস্থা?

বৈশ্বিক স্মার্টফোন উৎপাদন গত ৫ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে কম হয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ, জানুয়ারি থেকে মার্চ এ তিন মাসে বৈশ্বিক স্মার্টফোন উৎপাদন হয়েছে সবচেয়ে কম। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ড ফেোর্সের তথ্য অনুযায়, বছরের হিসোবে ১০ শতাংশ স্মার্টফোন উৎপাদন কমেছে যা সর্বমোট ২৮ কোটি ইউনিট হতে পারে।

করোনাভাইরাস মহামারিতে কারখানা বন্ধ থাকা, শ্রমিক ও যন্ত্রাংশের স্বল্পতা উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে ট্রেন্ড ফোর্স।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, মহামারিটি এখন বিশ্বব্যাপী প্রধান অর্থনীতিগুলিকে ধাক্কা দিয়ে স্মার্টফোন বাজারের চাহিদার ওপর প্রভাব ফেলছে।
ট্রেন্ড ফোর্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দক্ষিণ কোরিয়ার টেক জায়ান্ট স্যামসাং ২৩.৩ শতাংশ বাজার দখল করেছে। চীনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোর তীব্র চাপে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে প্রতিষ্ঠানটির সংযোজন কারখানা ভারত ও ভিয়েতনামে থাকায় করোনাভাইরাসের প্রথম ধাক্কার প্রভাব তাদের ওপর এ প্রান্তিকে খুব বেশি পড়েনি।
প্রথম প্রান্তিকে ৬ কোটি ৫৩ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন উৎপাদন করেছে স্যামসাং যা গত বছরের তুলনায় ৯.৯ শতাংশ কম।
স্মার্টফোন বাজারের ১৬.৪ শতাংশ দখল নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান চীনের হুয়াওয়ের। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের প্রাথমিক বাজারে ব্র্যান্ডের চাহিদা উন্নতি করতে শুরু করেছে। স্থানয়ি বাজার চাহিদার কারণে ৪ কোটি ৬০ লাখ ইউনিট ফোন উৎপাদন করেছে হুয়াওয়ে।
ট্রেন্ড ফোর্সের তথ্য অনুযায়ী বাজারের তৃতীয় অবস্থানে মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। স্মার্টফোন বাজারের ১৩.৫ শতাংশ দখলে রেখেছে অ্যাপল। শ্রমিক ও যন্ত্রাংশ স্বল্পতায় ৩ কোটি ৭৯ লাখ ইউনিট আইফোন তৈরি করেছে অ্যাপল যা গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ৮.৭ শতাংশ কম।
বাজারের অপর তিনটি স্থান দখল করেছে শাওমি, অপো ও ভিভো। স্মার্টফোনের বাজারে শাওমির দখলে রয়েছে ৮.৮ শতাংশ। এরপরেই ৮.৬ শতাংশ অপোর আর ৮.২ শতাংশ ভিভোর দখলে রয়েছে।