উবার আরও ৩০০০ কর্মী ছাঁটাই করছে

উবার
উবার

এ মাসের শুরুর দিকে ৩ হজার ৭০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেওয়ার পর নতুন করে আরও তিন হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে উবার টেকনোলজিস ইনকরপোরেশন। করোনা পরিস্থিতির কারণে রাইড শেয়ারিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায় বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দারা খোশরেশাহী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বড় অংশে উবারের ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার বিস্তার রোধে লকডাউন থাকায় উবারকে ব্যবসা গোটাতে হয়েছে।

উবারের দুই–তৃতীয়াংশ আয় আসে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে। গত মার্চ মাসে এ দুটি দেশে বাড়িতে থাকার নির্দেশ আসে। গত এপ্রিল মাসে বিশ্বজুড়ে উবারের ট্রিপ ৮০ শতাংশ কমে গেছে। তবে মে মাসে আবার ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে।

খোশরেশাহী বলেন, আগামী এক বছরের জন্য সিঙ্গাপুর অফিস বন্ধ করে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নতুন কোথাও নেওয়া হবে। উবার তাদের ৪৫ টি অফিস বন্ধ করে দেবে। এর মধ্যে সান ফ্রান্সিসকোর অফিসও রয়েছে।

গ্রাবহাব ইনকরপোরেশনের সঙ্গে খাদ্য বিতরণ ব্যবসাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আলোচনায় থাকা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি অপ্রধান প্রকল্পে বিনিয়োগ কমিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

উল্লেখ্য, উবারের ফুড ডেলিভারি সেবা 'উবার ইটস' বাংলাদেশে বন্ধ হতে যাচ্ছে। আগামী ২ জুন থেকে উবার ইটসের সেবা বাংলাদেশে পাওয়া যাবে না।

উবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণার সঙ্গে আরও বলা হয়, উবার ইটস তাদের বড় বাজারগুলোতেই আরও বেশি মনোনিবেশ করতে চায়।

গত বছরের এপ্রিলে উবার ইটসের কার্যক্রম বাংলাদেশে চালু হয়। চালুর এক বছরের মাথায় তারা এ সেবাটি বন্ধ করে দিচ্ছে।

ব্লগ পোস্টে আরও জানানো হয়, তাদের রাইড শেয়ারিং সেবাটি দেশে অব্যাহত থাকবে।

গত ৪ মে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উবার ইটস আরও আটটি দেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে- চেক রিপাবলিক, মিশর, হন্ডুরাস, রোমানিয়া, সৌদি আরব, ইউক্রেন ও উরুগুয়ে। এ ছাড়া আরব আমিরাতের স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে উবার ইটস এক হয়ে যাচ্ছে।

সিএনবিসি জানায়, উবার সিঙ্গাপুরে তাদের এশিয়া প্যাসিফিকের প্রধান কার্যালসহ বিশ্বের ৪৫টি কার্যালয় বন্ধ করে দিচ্ছে।