দেশে সম্ভাবনাময় মোবাইল গেম-শিল্প

বক্তব্য দিচ্ছেন পেচাস গেম স্টুডিওর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মায়াজ এম রহমান। ছবি: প্রথম আলো
বক্তব্য দিচ্ছেন পেচাস গেম স্টুডিওর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মায়াজ এম রহমান। ছবি: প্রথম আলো

দেশে সম্ভাবনাময় মোবাইল গেম-শিল্পমোবাইল গেম তৈরিতে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে গড়ে উঠতে পারে গেম-শিল্প।
আজ সোমবার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) মিলনায়তনে ‘ডেভেলপিং মোবাইল গেমিং ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ’ নামে মোবাইল গেম-শিল্পের সম্ভাবনা-বিষয়ক একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে গেম উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা ছাড়াও শতাধিক গেম ডেভেলপার ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কি নোট উপস্থাপন করেন পেচাস গেম স্টুডিওর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মায়াজ এম রহমান। কি নোটে তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বে ১২০ কোটিরও বেশি মানুষ গেমে সক্রিয়। ২০১৪ সালে ভিডিও গেমের বাজার ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে মোবাইল গেম ব্যবহারকারী ৯৬ কোটি ৬০ লাখ এবং মোবাইলে যত অ্যাপস ডাউনলোড হয় তার ৭০ শতাংশ গেম অ্যাপ্লিকেশন। ৫৩ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী প্রতিদিন গেম খেলেন। ৩০ বছরের কম বয়সীরা বেশি গেম খেলেন।
বাংলাদেশে গেমের সম্ভাবনা সম্পর্কে মায়াজ এম রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে মোবাইল গেম নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশে গেম তৈরির ক্ষেত্রে সফলতার ইতিহাসও রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এখন পর্যন্ত মোবাইল গেম-শিল্প দাঁড়ায়নি। বাংলাদেশি গেম নির্মাতাদের তৈরি গেমের ডেটাবেজ তৈরি করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আমাদের সুযোগ ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। পরস্পরকে সহযোগিতা করে আমরা এগিয়ে যেতে পারি।’

প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে মায়াজ বলেন, ‘বাংলাদেশের গেম শিল্প সম্ভাবনাময়। এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রের সব সমস্যা বের করে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। যাঁরা গেম তৈরিতে কাজ করছেন, তাঁদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভক্সলিভ গেমসের প্রতিষ্ঠাতা মো. আদনান ইসলাম, ১৪৩প্লে গেমসের প্রতিষ্ঠাতা এম এম হাসান, স্পিনঅফ স্টুডিওর আসাদুজ্জামান, কাডরোল্যাবসের বিপণন বিভাগের ইফতেখার রাসেল, মোবিঅ্যাপের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা আরিফিন, ম্যাসিভস্টার স্টুডিওর এস এম মাহবুব আলম, টিম ক্রিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী রাসেল টি আহমেদ, এমসিসির মো. আশরাফ খান, সফটউইন্ডটেকের মইনুর হোসেন, আইটিআইডব্লিউয়ের তানভীর আহমেদ, ট্যাপস্টার অ্যাপসের প্রধান নির্বাহী এ কে এম মাসুদুজ্জামান এবং গুগলের কান্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্ট খান মো. আনোয়ারুস সালাম।
এই অনুষ্ঠানের আয়োজক বেসিস, আলো ভেঞ্চার্স, মোবাইল মানডে, গুগল ডেভেলপার গ্রুপ-সোনারগাঁও।
অনুষ্ঠানে গেম-শিল্প তৈরি প্রসঙ্গে দেড় ঘণ্টার প্রশ্নোত্তর পর্ব ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে গেম তৈরি, গেমের বাজার ও শিল্প হিসেবে গড়ে উঠতে সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশে গেমের বাজার তৈরি হচ্ছে। এখানে বড় গেম-শিল্প তৈরি হতে পারে। এখন সঠিক দিকনির্দেশনা প্রয়োজন।’
গেম তৈরি ও ব্যবসার সঙ্গে অর্থ লেনদের বিষয়টিও যুক্ত থাকে। এ ক্ষেত্রে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে গুগলের কান্ট্রি কনসালট্যান্ট বলেন, ‘অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে নিয়ে গুগলের কোনো সমস্যা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিলে অ্যাপ কেনা-বেচার ক্ষেত্রে সমস্যা দূর হতে পারে।’