মেয়েরা শিখুক প্রোগ্রামিং

চলছে মেয়েদের প্রোগ্রামিং কর্মশালা
চলছে মেয়েদের প্রোগ্রামিং কর্মশালা

বাংলাদেশ তো বটেই গোটা দুনিয়ার প্রযুক্তিক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীর অংশগ্রহণ এখনো অনেক কম। তাই তো গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক—বড় বড় সব প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানই নারীদের প্রযুক্তিতে আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ জন্য বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-প্রকৌশল-গণিত (এসটিইএম—স্টেম) বিষয়ে মেয়েদের পড়াশোনার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়ার নতুন উদ্যোগ চোখে পড়ছে। বাংলাদেশেও কম্পিউটার বিজ্ঞানে মেয়েদের আগ্রহী করে তুলতে এখন দেখা যাচ্ছে নানা উদ্যোগ।
প্রথম প্রোগ্রামার নারী
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার কৌশল বিভাগের অধ্যাপক এম কায়কোবাদ বললেন, অ্যাডা লাভলেস নামের নারীই ছিলেন পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার। নারীরা ঠান্ডা মাথায় ভাবতে পারে বলে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং তাদের জন্য উপযুক্ত কাজ। অধ্যাপক কায়কোবাদ জানান, শুরুতে কম্পিউটার কৌশল বিভাগে মেয়েদের ভালো সাড়া ছিল, ধীরে ধীরে যা কমে যাচ্ছে। কম্পিউটার কৌশলের কোনো ক্লাসে এখন ১৫ শতাংশের বেশি মেয়ে চোখে পড়ে না। নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে কম্পিউটার কৌশল বিভাগের ছাত্রীদের বিশেষ বৃত্তি দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

কোড ইট গার্ল: প্রোগ্রামিং শেখায় মেয়েদের
প্রোগ্রামিংয়ে মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর কথা অনেক দিন থেকেই ভাবছিলেন আফরীন হোসেন। সঙ্গে মিরফাত শারমিন ও রিজভি বিন ইসলামকে নিয়ে গত বছরের শেষে শুরু করেন ‘কোড ইট গার্ল’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
আফরীন বললেন, গান, নাচ বা আবৃত্তির মতো প্রোগ্রামিং বা কোডিংয়ের হাতেখড়ি অল্প বয়সেই হওয়া উচিত। যেকোনো বয়সই প্রোগ্রামিং শেখার জন্য উপযুক্ত। এখন পর্যন্ত দুটি কর্মশালার আয়োজন করে কোড ইট গার্ল। সারা দেশে এমন কর্মশালা আরও আয়োজন করবে সংগঠনটি।

উইমেন টেকমেকার্স বাংলাদেশ
টেকমেকার্স এত দিন বাংলাদেশে কাজ করেছে গুগল ডেভেলপার গ্রুপ (জিডিজি) ঢাকার হয়ে। গত মাসেই নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফারাহ নাজিফা ও দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রাখশান্দা রুখামমে প্রধান (লিড) নির্বাচিত করে উইমেন টেকমেকার্স বাংলাদেশের স্বীকৃতি দিয়েছে গুগল। এ বছর দেশের ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করার পরিকল্পনা আছে উইমেন টেকমেকার্সের। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিশেষ আয়োজন করবে টেকমেকার্স