এআই ব্রাউজার ব্যবহার করা কি নিরাপদ
গুগলের ক্রোম ব্রাউজারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গত অক্টোবরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ চালু করেছে ওপেনএআই। এরপর ওপেনএআইয়ের ব্রাউজারকে টেক্কা দিতে ‘ডিস্কো’ নামের এআই ব্রাউজার তৈরির ঘোষণা দিয়েছে গুগল। এআই ব্রাউজার নিয়ে প্রযুক্তি–বিশ্বে প্রতিযোগিতা চললেও এ ধরনের ব্রাউজারের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এবার ওপেনএআই জানিয়েছে, এআই ব্রাউজারে ‘প্রম্পট ইনজেকশন’ নামের সাইবার হামলার ঝুঁকি পুরোপুরি দূর করা সম্ভব নয়।
এক ব্লগ বার্তায় ওপেনএআই জানিয়েছে, ওয়েবসাইট বা ই–মেইলের ভেতরে লুকিয়ে রাখা ক্ষতিকর নির্দেশনার মাধ্যমে এআই এজেন্টকে ব্যবহারকারীদের অজান্তেই অনাকাঙ্ক্ষিত বা ক্ষতিকর কাজে প্ররোচিত করা যায়। এতে এআই এজেন্টের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস এআই ব্রাউজারের নিরাপত্তাব্যবস্থায় উন্নয়ন আনা হলেও প্রম্পট ইনজেকশন একটি দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই থাকবে।
চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস ব্রাউজার চালুর পর নিরাপত্তা–গবেষকেরা জানিয়েছিলেন, গুগল ডকসে লেখা অল্প কয়েকটি শব্দ ব্যবহার করে ব্রাউজারটির আচরণ পরিবর্তন করা সম্ভব। ব্রেভ ব্রাউজার কর্তৃপক্ষও এক ব্লগ বার্তায় জানিয়েছে, পরোক্ষ প্রম্পট ইনজেকশন এআই–চালিত ব্রাউজারের জন্য একটি কাঠামোগত দুর্বলতা, যা পারপ্লেক্সিটির কমেট ব্রাউজারসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও বিদ্যমান। ওপেনএআইয়ের তথ্যমতে, ইন্টারনেটে যেমন প্রতারণা বা সামাজিক প্রকৌশল কৌশল পুরোপুরি নির্মূল করা যায় না, তেমনি প্রম্পট ইনজেকশনও হয়তো কখনো সম্পূর্ণভাবে সমাধান করা সম্ভব হবে না। চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাসের ‘এজেন্ট মোড’ চালু হওয়ায় নিরাপত্তাঝুঁকির পরিসর বেড়েছে।
চলতি মাসে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার সতর্ক করে জানিয়েছে, জেনারেটিভ এআই অ্যাপ্লিকেশনের বিরুদ্ধে প্রম্পট ইনজেকশন হামলা হয়তো কখনো পুরোপুরি প্রতিরোধ করা যাবে না। ফলে ওয়েবসাইট ও ডিজিটাল সেবাগুলো তথ্য ফাঁসসহ গুরুতর নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়তে পারে। ওপেনএআই জানিয়েছে, প্রম্পট ইনজেকশন পুরোপুরি ঠেকানো কঠিন হলেও বড় পরিসরে পরীক্ষা ও দ্রুত হালনাগাদের মাধ্যমে ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা চলছে। তবে এসব উদ্যোগের ফলে সাইবার হামলার হার কতটা কমেছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র: টেক ক্র্যান্চ