চ্যাটজিপিটি এজেন্ট আনল ওপেনএআই, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন জটিল কাজগুলোকে সহজে করার সুযোগ দিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর নতুন টুল উন্মুক্ত করেছে ওপেনএআই। ‘চ্যাটজিপিটি এজেন্ট’ নামের টুলটি ব্যবহারকারীদের হয়ে জটিল ও ধারাবাহিক কাজগুলো নিজে নিজেই করতে পারবে। এ বিষয়ে ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যান জানান, ব্যবহারকারীদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার পাশাপাশি তাদের দৈনন্দিন কাজের ধরন বিশ্লেষণ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন কাজ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে চ্যাটজিপিটি এজেন্ট।
ওপেনএআইয়ের তথ্যমতে, নতুন মডেলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি চ্যাটজিপিটি এজেন্ট মূলত একটি ভার্চ্যুয়াল সহকারী। এটি ওয়েব ব্রাউজিং, তথ্য বিশ্লেষণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন, ই–মেইল ব্যবস্থাপনা বা প্রেজেন্টেশন তৈরির মতো নানা জটিল কাজ একাই সম্পন্ন করতে পারে। এই মডেলের সঙ্গে টেক্সট ও ভিজ্যুয়াল ব্রাউজার, টার্মিনাল, কোড এক্সিকিউশন সুবিধাসহ এপিআই কানেক্টরও যুক্ত থাকায় এজেন্টটি ব্যবহারকারীর ক্যালেন্ডার বিশ্লেষণ করে আগাম বৈঠক সম্পর্কে জানাতে পারে, কেনাকাটার তালিকা বা ভ্রমণপরিকল্পনা সাজাতে পারে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী স্লাইড প্রস্তুত করতে পারে।
চ্যাটজিপিটি এজেন্ট চ্যাটজিপিটির প্রো, প্লাস ও টিম গ্রাহকেরা ব্যবহার করতে পারবেন। এর জন্য ‘কম্পোজার’ অপশনের টুল মেনু থেকে ‘এজেন্ট মোড’ নির্বাচন করতে হবে। ওপেনএআই জানিয়েছে, এই এজেন্টের মূল শক্তি হলো ‘ইউনিফায়েড এজেন্টিক সিস্টেম’। এজেন্টটি জিমেইল ও গিটহাবের মতো অ্যাপের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারে ‘কানেক্টর’–এর মাধ্যমে। অর্থাৎ ব্যবহারকারীর পক্ষে ই–মেইল পড়া, তথ্য সংগ্রহ বা উৎসভিত্তিক যাচাইয়ের মতো কাজও এই এজেন্টের মাধ্যমে করা সম্ভব।
গত এক বছরে এআই এজেন্ট প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকেছে বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো। ২০২৩ সালে এই ধারার প্রসার শুরু হলে অ্যামাজন, গুগল ও মেটার মতো প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব এজেন্ট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি গুগল ‘উইন্ডসার্ফ’ নামের একটি স্টার্টআপের প্রধান নির্বাহী এবং গবেষণা দলকে নিয়োগ দিয়েছে তাদের এজেন্টিক এআই উন্নয়নের কাজে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস