ভুয়া এআই ট্রেলার প্রকাশের অভিযোগে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হলো ইউটিউব চ্যানেল

ইউটিউবছবি: রয়টার্স

ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) সিনেমার ট্রেলার প্রকাশের অভিযোগে দুটি ইউটিউব চ্যানেল স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করেছে ইউটিউব। নিষিদ্ধ হওয়া চ্যানেল দুটি হলো ‘স্ক্রিন কালচার’ ও ‘কেএইচ স্টুডিও’। এর মধ্যে স্ক্রিন কালচার ভারত থেকে এবং কেএইচ স্টুডিও যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে পরিচালিত হতো।

ইউটিউবের তথ্যমতে, চ্যানেলগুলো দীর্ঘদিন ধরে সিনেমা ও টেলিভিশন ধারাবাহিকের ভুয়া ট্রেলার প্রকাশ করে আসছিল, যেগুলো দেখতে অনেকটাই আনুষ্ঠানিক ট্রেলারের মতো ছিল। ফলে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক দর্শক এসব ভিডিওকে অফিশিয়াল বলে ধরে নিতেন। নিষিদ্ধ হওয়ার আগে দুটি চ্যানেলের সম্মিলিত গ্রাহকসংখ্যা (সাবস্ক্রাইবার) ছিলেন ২০ লাখের বেশি। একই সঙ্গে এসব চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওগুলোর দর্শকসংখ্যা (ভিউ) ১০০ কোটির বেশি ছিল।

বিনোদনবিষয়ক ওয়েবসাইট ডেডলাইন ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যানেল দুটি মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমা ও ধারাবাহিকের ট্রেলার তৈরিতে নিয়মিতভাবে অফিশিয়াল ফুটেজের সঙ্গে এআই দিয়ে তৈরি দৃশ্য ব্যবহার করত। ভিডিওগুলো এমনভাবে সম্পাদনা করা হতো, যা বাস্তব মনে হওয়ার কারণে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার আশঙ্কা তৈরি করত। চলতি বছরের শুরুতেই বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট প্রকাশ ও কৃত্রিমভাবে তৈরি ভিডিও সম্পর্কে যথাযথ তথ্য না দেওয়ার অভিযোগে ইউটিউব চ্যানেল দুটির আয় করার সুবিধা স্থগিত করে দেয়। পরে কিছু সংশোধনের পর সাময়িকভাবে আবার আয় করার অনুমতি দেওয়া হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

আরও পড়ুন

প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউটিউবের মুখপাত্র জ্যাক ম্যালন জানিয়েছেন, আয় করার অনুমতি ফিরে পাওয়ার পরও চ্যানেল দুটি স্প্যাম ও বিভ্রান্তিকর মেটাডেটা–সংক্রান্ত নীতিমালা বারবার লঙ্ঘন করেছে। এ কারণে শেষ পর্যন্ত চ্যানেল দুটিকে প্ল্যাটফর্ম থেকে স্থায়ীভাবে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সূত্র: টেকলুসিভ

আরও পড়ুন