মস্তিষ্কের ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তি কত দিন বাঁচতে পারবেন, তা অনুমান করে জানাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

ক্যানসার চিকিৎসায় চিকিৎসকদের সহায়তা করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিছবি: রয়টার্স

মস্তিষ্কের ক্যানসার চিকিৎসায় চিকিৎসকদের সহায়তা করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছেন লন্ডনের কিংস কলেজের বিজ্ঞানীরা। এ জন্য তাঁরা ক্যানসারে আক্রান্ত প্রায় ১০ হাজার ব্যক্তির এমআরআই পরীক্ষার ফলাফল ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিনির্ভর নতুন সিস্টেম তৈরি করেছেন।

এমআরআই পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করে পরবর্তী সময়ে মস্তিষ্কের ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তি কত দিন বেঁচে থাকবেন, তার সম্ভাব্য সময় অনুমান করে জানাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর সিস্টেমটি।

কিংস কলেজের বিজ্ঞানীদের দাবি, মস্তিষ্কের ক্যানসারে [গ্লিওব্লাসটোমা] আক্রান্ত রোগীরা কত দিন বাঁচবেন, তার সম্ভাব্য সময় অনুমান করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর সিস্টেমটি। ফলে গ্লিওব্লাসটোমায় আক্রান্ত রোগী রেডিওথেরাপি দেওয়ার পর আট মাস বেঁচে থাকবেন কি না, তা সহজেই শনাক্ত করে চিকিৎসা দিতে পারবেন চিকিৎসকেরা। ফলে সিস্টেমটি সেই রোগীর পরবর্তী চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সহায়তা করবে।

ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ক্যানসার রিসার্চের তথ্যমতে, মস্তিষ্কের ক্যানসারের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হচ্ছে গ্লিওব্লাস্টোমা। গ্লিওব্লাসটোমায় আক্রান্ত রোগীরা রেডিওথেরাপি দেওয়ার পর সাধারণত ১২ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকেন। এক বছরের বেশি সময় বাঁচেন ২৫ শতাংশ রোগী আর পাঁচ বছরের বেশি সময় বাঁচেন মাত্র পাঁচ শতাংশ রোগী। এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা নিয়মিত ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষা করেন। এ জন্য রোগীদের মস্তিষ্ক নিয়মিত স্ক্যান করেন তাঁরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর সিস্টেমটি এমআরআই বিশ্লেষণ করে ওষুধের কার্যকারিতার ফলাফলও জানাবে।

এ বিষয়ে গবেষক আলিশা চেলিয়াহ বলেন, ‘রেডিওথেরাপি শেষ করার পর গ্লিওব্লাসটোমায় আক্রান্ত রোগী আট মাসের বেশি বাঁচতে পারবেন কি না, তা অনুমানের জন্য আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর ডিপ লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি। এর ফলে দ্বিতীয় ধাপে কোন কোন রোগীর চিকিৎসা শুরু করতে হবে, তা দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হবে।’

সূত্র: ডেইলি মেইল