গুগল প্লে ও অ্যাপ স্টোর থেকে ডিপসিক অ্যাপ সরাতে জার্মানির আহ্বান
গত জানুয়ারিতে উন্মুক্ত করার পরপরই প্রযুক্তি–দুনিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছে চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ডিপসিক চ্যাটবট। অনেক বাজার বিশ্লেষকের ধারণা, ডিপসিক এআইয়ের কার্যক্ষমতা এরই মধ্যে চ্যাটজিপিটি, জেমিনি ও ক্লডের মতো বিভিন্ন এআই মডেলকে পেছনে ফেলেছে। তবে ডিপসিক অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি সেগুলো গোপনে চীনে পাঠাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জার্মানির ডেটা প্রটেকশন কমিশনার মাইক ক্যাম্প। শুধু তা–ই নয়, গুগল প্লে ও অ্যাপ স্টোর থেকে ডিপসিক অ্যাপ দ্রুত মুছে ফেলতে গুগল ও অ্যাপলকে অনুরোধও করেছেন তিনি।
মাইক ক্যাম্প জানিয়েছেন, জার্মানির ডিপসিক ব্যবহারকারীদের তথ্য চীনে পাঠানো বেআইনি। চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন তথ্যের ওপর ব্যাপক হারে প্রবেশাধিকার পেয়ে থাকে। এ ধরনের পরিস্থিতি ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা ও মৌলিক অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জার্মানির এ অভিযোগ ইউরোপীয় ইউনিয়নজুড়েই ডিপসিকের ওপর নিষেধাজ্ঞার পথ তৈরি করতে পারে। তথ্য অধিকার ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার প্রশ্নে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বরাবরই কঠোর অবস্থান নিয়ে থাকে। আর তাই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোনো দেশের জাতীয় পর্যায়ের সুরক্ষা সংস্থা যদি কোনো অ্যাপকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে, তবে সেটি অন্যান্য দেশেও নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর তাই জার্মানির নতুন এ পদক্ষেপের কারণে ইউরোপে বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে ডিপসিক অ্যাপ।
প্রসঙ্গত, উন্মুক্তের পরপরই ডিপসিক অ্যাপের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য গোপনে সংগ্রহ করার অভিযোগ করেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এনআইএস)। সংগ্রহ করা ব্যক্তিগত তথ্যগুলোর মাধ্যমে ডিপসিক নিজস্ব এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে বলেও জানিয়েছিল সংস্থাটি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া