গোপনে স্ক্রিনশট নেবে এআই, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারিতে মাইক্রোসফট

মাইক্রোসফটরয়টার্স

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নানা ধরনের টুল নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। সম্প্রতি মাইক্রোসফট ‘কোপাইলট প্লাস পিসি’ নামের এআই প্রযুক্তিসুবিধার নতুন ল্যাপটপ আনার ঘোষণা দিয়েছে। ল্যাপটপগুলোতে মাইক্রোসফটের তৈরি এআই চ্যাটবট ‘কোপাইলট প্লাস’ যুক্ত থাকায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন কাজ করা যাবে। তবে ল্যাপটপগুলোতে ‘রিকল’ নামের আরও একটি সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর অজান্তেই ল্যাপটপের পর্দায় থাকা সব ছবির স্ক্রিনশট নেবে এআই। আর তাই রিকল সুবিধা নিয়ে এরই মধ্যে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে প্রযুক্তিবিশ্বে।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের অনেকে রিকল সুবিধার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা নষ্ট হবে বলে ধারণা করছেন। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের সমালোচনার মুখে যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনারের কার্যালয় আইসিও রিকল সুবিধার নিরাপত্তাব্যবস্থা জানতে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। তবে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, রিকল সুবিধা চাইলে বন্ধও রাখতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। শুধু তা–ই নয়, রিকলের সংগ্রহ করা স্ক্রিনশট শুধু ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা হয়। মাইক্রোসফট বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান সেগুলো ব্যবহার করতে না পারায় ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা নষ্ট হবে না।

রিকল সুবিধার বিষয়ে আইসিওর একজন মুখপাত্র বলেন, ‘নতুন পণ্য বাজারে আনার আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই ব্যবহারকারীদের অধিকার ও স্বাধীনতার ঝুঁকি কঠোরভাবে মূল্যায়ন করে পদক্ষেপ নিতে হবে। ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য আমরা মাইক্রোসফটের সঙ্গে যৌথভাবে অনুসন্ধান করছি। রিকল ফাইল, ফটো, ই–মেইল ও ব্রাউজিং ইতিহাসসহ ব্যবহারকারীদের অতীত কার্যকলাপ সংরক্ষণ করতে পারে। রিকল কয়েক সেকেন্ড পরপর স্ক্রিনশট নেয়। ফলে এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা নষ্ট হতে পারে।’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং গোপনীয়তা–বিষয়ক পরামর্শক ক্রিস শ্রীশাক জানিয়েছেন, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় স্ক্রিনশট নেওয়ার বিষয়টি মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। মাইক্রোসফট বলেছে, তারা রিকল সুবিধায় গোপনীয়তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে নতুন এ সুবিধার কারণে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ও পাসওয়ার্ড মাইক্রোসফটের কাছে চলে যাবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

সূত্র: বিবিসি