এআই কি সত্যিই কল সেন্টারে মানুষের বিকল্প হবে

ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কল সেন্টার খাতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারেরয়টার্স

সহজে ও কম খরচে কাজ করার সুযোগ থাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিনির্ভর চ্যাটবটসহ নানা সুবিধা চালু করছে। আর তাই আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কল সেন্টারসহ বিভিন্ন পেশার কর্মীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির কারণে হুমকির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। এ বিষয়ে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসের (টিসিএস) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে কৃত্তিবাসন জানিয়েছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি বিভিন্ন চাকরি ক্ষেত্রের জন্য বড় হুমকি তৈরি করবে এবং কল সেন্টারও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হবে। ভবিষ্যতে মানুষের উপস্থিতি ছাড়াই কল সেন্টারের প্রাথমিক সব কাজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে করা যাবে।

ভবিষ্যতে কল সেন্টারে মানুষের বিকল্প হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা তুলে ধরে কে কৃত্তিবাসন জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কল সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করেছে। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি এ খাতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই মানুষের বিকল্প হিসেবে এআই প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ ও কল সেন্টারে আসা কল ব্যবস্থাপনা করতে পারবে, যার ফলে কল সেন্টারের প্রাথমিক কাজগুলো মানুষের সহায়তা ছাড়াই করা যাবে।

আরও পড়ুন

বিভিন্ন পেশায় কর্মীদের কাজের সুযোগ কমলেও এআইয়ের কারণে নতুন পেশা তৈরির সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন কে কৃত্তিবাসন। এ বিষয়ে তিনি জানান, আগামী কয়েক বছরে কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির চাহিদা আরও বাড়বে। মানুষের জন্যও নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হতে পারে। এসব পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হলে নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে হবে।

সূত্র: নিউজ ১৮ ডটকম

আরও পড়ুন