অফিসে কর্তা হিসেবে কে ভালো, মানুষ না এআই?

বর্তমানে প্রায় সব ক্ষেত্রেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছেরয়টার্স

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির বিভিন্ন চ্যাটবট যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দ্রুত ও নির্ভুলভাবে জানাতে পারে। ব্যবহারকারীর নির্দেশমতো নিজ থেকে বার্তা ও নিবন্ধ লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজও করতে পারে চ্যাটবটগুলো। আর তাই বর্তমানে প্রায় সব ক্ষেত্রেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। ফলে চাকরি থেকে শুরু করে আর্থসামাজিক সব ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ৪৪ শতাংশ চ্যাটবট ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, কর্মক্ষেত্রে মানুষের তুলনায় ভালো ব্যবস্থাপক হতে পারে এআই। ৫৬ শতাংশের মতে, ভার্চ্যুয়াল অভিজ্ঞতা ও মেটাভার্সের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে এআই। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ক্যাসপারস্কি।

গবেষণায় অংশ নেওয়া ৫৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন, এআই বর্তমানে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং ৫১ শতাংশের ধারণা, এআইয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও উন্নত সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। ৫৬ শতাংশ মনে করেন, সৃজনশীল ক্ষেত্রে এআই নির্ভরযোগ্য আর্ট বা শিল্প তৈরিতে সক্ষম।

গবেষণায় অংশ নেওয়া ৬২ শতাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এআইয়ের সঙ্গে কথোপকথনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এবং ৩৭ শতাংশ জীবনসঙ্গী খুঁজতে এআই ব্যবহার করেন। তবে ৫৬ শতাংশ মানুষের ধারণা, এআই মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কে পরিবর্তন আনতে পারে। অর্থাৎ বাস্তব সম্পর্কগুলোর সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল সম্পর্কের যোগসূত্র তৈরি হতে পারে।

গবেষণার বিষয়ে ক্যাসপারস্কির গবেষণা উন্নয়ন বিভাগের গ্রুপ ম্যানেজার ভ্লাদিস্লাভ তুশকানভ বলেন, ‘আমরা একটি প্রয়োজনীয় টুল হিসেবে এআইয়ের ক্রমবর্ধমান গ্রহণযোগ্যতা লক্ষ করছি, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষকে সহায়তা করছে। তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বিশ্লেষণের মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলোর বাইরেও শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে এআই ব্যবহৃত হচ্ছে। এই প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এআই দিয়ে ফিশিং হামলার পাশাপাশি ডিপফেক ও পরিচয় চুরি হওয়ার অপ্রত্যাশিত ঝুঁকি ও হুমকিও তৈরি করেছে। তাই এই চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের সচেতনতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।’