এআই সার্চে উদ্ভট উত্তর নিয়ে হাস্যরস, সমালোচনা ও গুগলের প্রতিক্রিয়া

তথ্য অনুসন্ধানে এআইয়ের উদ্ভট উত্তর নিয়ে বিপাকে পড়েছে গুগলরয়টার্স

গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) ‘ওভারভিউ’সুবিধা নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। এই এআই ওভারভিউ সুবিধায় ভুল ছাড়াও উদ্ভট উত্তরও দেখা গেছে। পিৎজাতে আঠা লাগানো বা ইট খাওয়ার মতো উদ্ভট উত্তর দিয়েছে গুগলের এই এআই। এসবই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে অসংখ্য মিম ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি গুগলের এআইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে হাস্যরস তো হয়েছেই, নির্ভরযোগ্যতা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এসব এআই উত্তর ধরে ধরে নিষ্ক্রিয় করতে কাজ করছে গুগল।

গত বছরের মে মাস থেকে বেটা সংস্করণে সার্চে এআই ওভারভিউ সুবিধাটি পরীক্ষা করে দেখেছে গুগল। সম্প্রতি সুবিধাটি যুক্তরাষ্ট্রে ছাড়া হয়। গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই জানিয়েছেন, শত কোটি প্রশ্নও এই এআইয়ে পরখ করা হয়েছে। যন্ত্র, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য এআইয়ের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ খরচও কমিয়ে এনেছে গুগল। কিন্তু এখন এআই প্রযুক্তিটির অবস্থা দেখে সমালোচনায় উঠে এসেছে—প্রযুক্তির অগ্রগতি পুরোপুরি না হওয়ার আগেই এটি উন্মোচন করা হয়েছে।

একজন এআই–বিশেষজ্ঞ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, একটি প্রতিষ্ঠান একসময় খুবই গুণগত ও উন্নত পণ্য ও সেবা নিয়ে আসার জন্য পরিচিত হলেও এখন গড়পড়তা ও নিম্নমানের প্রযুক্তি এনে হাস্যরসের শিকার হচ্ছে। অবশ্য গুগলের মুখপাত্র মেগান ফার্নসওয়ার্থ পুরো বিষয় নিয়েই প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান তুলে ধরেছেন। তিনি বলছেন, গুগলের এআই ওভারভিউ সুবিধাটির অধিকাংশ উত্তরই তথ্যসমৃদ্ধ। সমস্যাপূর্ণ উত্তরগুলো আসলে খুবই অপ্রচলিত ও ভিন্ন ধরনের প্রশ্ন থেকে এসেছে। যেভাবে বলা হচ্ছে, এগুলো সেভাবেও ছড়িয়ে যায়নি। নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্নের এআই ওভারভিউয়ের ত্রুটিপূর্ণ উত্তর সরিয়ে নিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে গুগল। এগুলোর জন্য গুগলের আধেয় নীতিমালা (কনটেন্ট পলিসি) মানা হচ্ছে। এ ছাড়া এসব সমস্যা থেকেই এআইয়ের উন্নতি করার কাজ চলছে। এমনকি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

এআই–বিশেষজ্ঞ গ্যারি মারকাস বলছেন, অধিকাংশ এআই প্রতিষ্ঠান এআইয়ের কার্যক্ষমতা নিয়ে দাবি করে যে তাদের প্রযুক্তি ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ নির্ভুল। তবে ৮০ শতাংশ নির্ভুল হওয়া আপাত সহজ। কারণ, এগুলোর সঙ্গে মানুষের অনেক তথ্য থাকে। তবে বাকি ২০ শতাংশ নির্ভুল হওয়াটা খুবই কঠিন। সম্ভবত সব থেকে কঠিন।

সূত্র: দ্য ভার্জ