গুগলের এআই মডেলের মাধ্যমে পুরোনো ছবি সম্পাদনা করবেন যেভাবে
পুরোনো, বিবর্ণ বা প্রায় নষ্ট হয়ে যাওয়া ছবিও স্মৃতিকাতরতা তৈরি করে। ছবির হলদে রং, ভাঁজের দাগ, ক্ষীণ হয়ে আসা প্রান্ত বা আঁচড়ের চিহ্ন সবই একেকটি স্মৃতির অংশ। দীর্ঘদিন ধরে এসব ছবির মান উন্নয়ন করা ছিল সময়সাপেক্ষ ও জটিল কাজ। সম্প্রতি বাজারে আসা গুগলের ন্যানো বানানা প্রো এআই মডেলে সঠিক প্রম্পট ব্যবহার করে কম পরিশ্রমে পুরোনো ছবি নতুন রূপে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
কেন ন্যানো বানানা প্রো পুরোনো ছবি পুনর্গঠনে উপযোগী
ন্যানো বানানা প্রো উন্নত ডিফিউশন মডেল ও প্রাসঙ্গিক পুনর্গঠনপ্রযুক্তি ব্যবহার করে। সহজভাবে বললে, এটি ছবির প্রতিটি পিক্সেল বিশ্লেষণ করে অনুপস্থিত অংশ অনুমান করে স্বাভাবিকভাবেই পুনর্নির্মাণ করে। ত্বকের রং, আলো–ছায়া, টেক্সচার ও ব্যাকগ্রাউন্ড সবকিছুর সমন্বয় বজায় থাকে। ফলে ৭০ বা ৮০–এর দশকের রঙিন ছবিতে যে ধরনের হলুদ বা লালচে রঙের প্রলেপ দেখা যায়, ন্যানো বানানা প্রো তা খুব সূক্ষ্মভাবে ঠিক করে ছবিকে স্বাভাবিক রঙে ফিরিয়ে আনতে পারে।
কীভাবে সঠিক প্রম্পট ব্যবহার করবেন
পুরোনো ছবি চকচকে করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সুনির্দিষ্ট ও স্পষ্ট প্রম্পট ব্যবহার করা। কয়েকটি নমুনা প্রম্পট কাঠামো নিচে দেওয়া হলো
১. সাধারণ প্রম্পট
‘রিস্টোর দিস ওল্ড ফটোগ্রাফ উইথ ন্যাচারাল কালারস, ক্লিন ডিটেইলস অ্যান্ড অ্যাকিউরেট লাইটিং। রিমুভ স্ক্র্যাচেস, স্টেইনস অ্যান্ড নয়েজ হোয়াইল কিপিং দ্য অরিজিনাল স্টাইল।’
২. পোর্ট্রেট পুনর্গঠন প্রম্পট
‘রিকনস্ট্রাক্ট দ্য ফেস জেন্টলি, রিটেইন ন্যাচারাল স্কিন টেক্সচার, প্রিজার্ভ অরিজিনাল এক্সপ্রেশনস অ্যান্ড রিপেয়ার ড্যামেজড এরিয়াস উইদাউট ওভার-স্মুদিং।’
৩. কালার কারেকশন প্রম্পট
‘নিউট্রালাইজ ইয়েলো টিন্ট, ইম্প্রুভ কন্ট্রাস্ট, ব্যালান্স হাইলাইটস অ্যান্ড শ্যাডোস অ্যান্ড রিস্টোর ফিল্ম-লাইক টোনস।’
৪. সিভিয়ারলি ড্যামেজড ফটো প্রম্পট
‘রিবিল্ড মিসিং অর টর্ন সেকশনস, রিকনস্ট্রাক্ট টেক্সচারস, রিকভার ফেশিয়াল ফিচারস অ্যাকিউরেটলি অ্যান্ড মেইনটেইন দ্য ভিনটেজ ফিল অব দ্য ইমেজ।’
ছবির স্বকীয়তা বজায় রাখার জন্য যেসব বিষয় মেনে চলতে হবে—
পুরোনো ছবি সম্পাদনা বা মান উন্নয়নের সময় বিষয় মেনে না চললে ছবির মধ্যে কৃত্রিমতা চলে আসে। আর তাই ভালোমানের জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।
১. বেশ কিছুটা গ্রেইন ভাব রাখা
পুরোনো ছবিতে সামান্য গ্রেইন থাকে, এটাই তার চরিত্র। সব গ্রেইন সরাতে গেলে ছবি অস্বাভাবিক লাগে।
২. ছবির কালার প্যালেট ব্যবহার করা
অনেক পুরোনো ছবির নির্দিষ্ট কালার প্যালেট থাকে। তাই সেই সময়কার অনুরূপ ছবির রেফারেন্স দেখে সংশোধন করলে রং আরও বাস্তবসম্মত হবে।
৩. আলো-ছায়া নষ্ট না করা
শ্যাডো ছবির গভীরতা রক্ষা করে। বেশি পরিবর্তন করলে ছবি সমতল দেখায়। তাই কেবল ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ঠিক করে ছবিতে স্বাভাবিক আলো নিশ্চিত করতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া