চ্যাটজিপিটিকে অপারেটিং সিস্টেমে রূপ দিতে চায় ওপেনএআই
গুগলের ক্রোম ব্রাউজারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গত অক্টোবরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ উন্মোচন করেছে ওপেনএআই। এমনকি গুগলের সার্চ সেবাকে পেছনে ফেলতে চ্যাটজিপিটির সার্চে বড় ধরনের পরিবর্তনও এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। এবার অ্যান্ড্রয়েডের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নিজেদের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিকে পূর্ণাঙ্গ অপারেটিং সিস্টেমে রূপান্তরের পরিকল্পনা করেছে ওপেনএআই। নতুন এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম শপিফাইয়ের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পণ্য বিভাগের প্রধান গ্লেন কোয়েটসকে ওপেনএআইয়ের ‘হেড অব অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম’ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে চ্যাটজিপিটি মূলত অ্যাপ বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবেই পরিচিত। তবে এআইভিত্তিক কথোপকথন–ব্যবস্থা, এআই এজেন্ট এবং বিভিন্ন অ্যাপ ও সেবার সঙ্গে সংযোগের সুবিধার কারণে এটি ধীরে ধীরে একটি সর্বজনীন ইন্টারফেসে রূপ নিচ্ছে। সম্প্রতি চালু হওয়া ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাপস’ ফিচারের মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলো সরাসরি চ্যাটজিপিটির সঙ্গে যুক্ত হতে পারছে। ফলে ব্যবহারকারীরা চ্যাটবটের ভেতর থেকেই বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পন্ন করতে পারছেন। এআই এজেন্ট, নিজস্ব সার্চ–সুবিধা এবং ব্যবহারকারীর প্রেক্ষাপট বোঝার ক্ষমতা—সব মিলিয়ে চ্যাটজিপিটি এমন এক অভিজ্ঞতা তৈরি করছে, যা প্রচলিত অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে ক্রমেই সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠছে।
প্রযুক্তিবিশেষজ্ঞদের মতে, অপারেটিং সিস্টেম হলো এমন একটি মূল সফটওয়্যার, যা ডিভাইসের হার্ডওয়্যার, ব্যবহারকারী ও অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে সমন্বয় করে। ফলে চ্যাটজিপিটি ইতিমধ্যে ব্যবহারকারী ইন্টারফেস ও অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। এখন ওপেনএআইয়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো হার্ডওয়্যারের সঙ্গে কার্যকর ও নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপন। এ বিষয়ে গ্লেন কোয়েটস জানিয়েছেন, চ্যাটজিপিটিকে একটি অ্যাপ বা ব্যবহারকারী ইন্টারফেস হিসেবে সীমাবদ্ধ না রেখে ধাপে ধাপে একটি মূল সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্মে রূপান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
টেকক্রাঞ্চকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোয়েটস বলেন, ‘আগামী কয়েক বছরে আমরা চ্যাটজিপিটিকে এমন একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তর করতে চাই, যা অনেকটা অপারেটিং সিস্টেমের মতো কাজ করবে। ব্যবহারকারীরা সেখানে এসে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। লেখালেখির জন্য আলাদা অ্যাপ, প্রোগ্রামিংয়ের জন্য আলাদা অ্যাপ, পণ্য ও সেবার সঙ্গে যোগাযোগের জন্যও আলাদা অ্যাপ থাকবে।’
সূত্র: গ্যাজেটস ৩৬০