ফোর্ড ও টেসলার তৈরি গাড়িতে ব্যবহৃত স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি কি নিরাপদ

হ্যান্ডস-ফ্রি ড্রাইভিং প্রযুক্তির গাড়িছবি: রয়টার্স

গাড়ির দুনিয়ায় প্রযুক্তিগত অনেক চমক দেখা যাচ্ছে এক দশকে। চালকবিহীন গাড়ি থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে এনেছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি হ্যান্ডস-ফ্রি ড্রাইভিং প্রযুক্তির ব্যবহার দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন গাড়িতে। হ্যান্ডস ফ্রি প্রযুক্তিতে বিশেষ ধরনের স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যেখানে চালক ইচ্ছা করলে ড্রাইভিং সিটে বসে স্টিয়ারিং হুইলে কিছু সময়ের জন্য হাত না রেখেই গাড়ি চালাতে পারেন।

সম্প্রতি দুটি বড় দুর্ঘটনার পর মার্কিন প্রশাসন ফোর্ডের হ্যান্ডস-ফ্রি ড্রাইভিং প্রযুক্তি নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএইচটিএসএ) ফোর্ডের ব্লুক্রুজ ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স প্রযুক্তির কার্যকারিতা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে। কারণ, দুর্ঘটনার সময় দুটি গাড়িতেই ফোর্ডের হ্যান্ডস-ফ্রি ড্রাইভিং প্রযুক্তি চালু ছিল।

গত ফেব্রুয়ারিতে ব্লুক্রুজ ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স প্রযুক্তিসুবিধার একটি ফোর্ড গাড়ি রাস্তায় থেমে থাকা একটি গাড়িকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। সংঘর্ষের ফলে সেই গাড়ির ৫৬ বছর বয়সী চালক নিহত হন। অন্য আরেকটি দুর্ঘটনাটি ঘটে মার্চ মাসে ফিলাডেলফিয়ায়। এনএইচটিএসএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ব্লুক্রুজ ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স প্রযুক্তির ড্রাইভার মনিটরিং প্রযুক্তি আসলে কাজ করে কি না, তা যাচাই করা হবে।

টেসলার অটোপাইলট নামের একই ধরনের প্রযুক্তি নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। ফোর্ডের ব্লুক্রুজের মতো টেসলার অটোপাইলট প্রযুক্তিও স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং সফটওয়্যার। অটোপাইলট প্রযুক্তিতে আংশিক অটোমেশন করা যায়। ফলে এই প্রযুক্তি গতিনিয়ন্ত্রণ ও গাড়ি পার্কিং করার সময় ব্যবহৃত হয়। অটো পাইলট ব্যবহারের সময় চালককে বেশ সতর্ক থাকতে হয়।

সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স