দেশে বর্তমানে প্রায় ৩৬ লাখ বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) রয়েছে। ঢাকায় বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত অটোমোটিভ ডিজাইন কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশি উদ্যোগ জেনো ইভি আয়োজিত কর্মশালাটি পরিচালনা করেন এর প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম হোসেন। তিনি ইতালির একটি প্রতিষ্ঠানে একজন পেশাদার গাড়ির ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত।
গতকাল শুক্রবার ছিল কর্মশালার প্রথম আয়োজন। আগামী কয়েক দিন ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এই কর্মশালার আরও কয়েকটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। পরিবহন নকশায় ইতালীয় পদ্ধতির পাশাপাশি বর্তমানের বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) বাজার, এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং কীভাবে বাংলাদেশে তৈরি নকশা বৈশ্বিক বাজারে পৌঁছাতে পারে এ বিষয়গুলো কর্মাশালায় আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের এটুআইয়ের হেড অব কমার্শিয়াল স্ট্র্যাটেজি রেজওয়ানুল হক বলেন, সরকার বর্তমানে ইভির ওপর বিশেষ নজর দিয়ে বিভিন্ন নীতিমালা তৈরি করছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৩৬ লাখ ইভি রয়েছে। সরকার এই বাহনগুলোর ওপর নানা ক্ষেত্রে থাকা কর মওকুফের পরিকল্পনা করছে।
জেনো ইভির চেয়ারম্যান এ এম ইশতিয়াক সারওয়ার বলেন, বাংলাদেশে ইভির বাজার দিন দিন বড় হচ্ছে এবং দেশি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে তাদের নিজস্ব ইভি বাজারজাত করছে। জেনো ইভির সহপ্রতিষ্ঠাতা মাশরুর হান্নান বলেন, আজকের কর্মশালার উদ্দেশ্য হলো দেশে অটোমোটিভ ডিজাইনারদের একটি কমিউনিটি গঠন করা। ভবিষ্যতে এই খাতে কাজ করতে আগ্রহী ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি আরও কর্মশালা আয়োজনের ইচ্ছা পোষণ করেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী চার্জিং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আলিম আল রাজি বক্তৃতা করেন।
এ কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য ২০০ জনের বেশি আগ্রহী নিবন্ধন করেন, এর মধ্যে ৫০ জন কর্মশালায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
কর্মশালার আয়োজক জেনো ইভি ও বিডিওএসএন, সহযোগী জাদু পিসি।