মার্সিডিজের তৈরি বিশ্বের প্রথম আধুনিক সুপারকারের কথা
১৯৫০ সালের শুরুর দিকে ডব্লিউ ১৯৪ মডেলের স্পোর্টস গাড়ি বাজারে আনে মার্সিডিজ-বেঞ্জ। এরপর ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি আমদানিকারক ম্যাক্সিমিলিয়ান হফম্যান মার্সিডিজ গাড়ির নির্মাতা ডাইমলার-বেঞ্জের (সাবেক নাম) পরিচালনা পর্ষদকে পরবর্তী সংস্করণের রেসিং স্পোর্টস গাড়ি তৈরির অনুরোধ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিক্রির জন্য আগাম এক হাজার গাড়ি কেনার ফরমাশও দেন তিনি। হফম্যানের এ প্রস্তাবের মাত্র পাঁচ মাস পর ১৯৫৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাজারে আসে ‘বিশ্বের প্রথম আধুনিক সুপার কার’-এর স্বীকৃতি পাওয়া মার্সিডিজ–বেঞ্জ ৩০০ এসএল গালউইং। নিউইয়র্কের ইন্টারন্যাশনাল মোটর স্পোর্টস শোতে প্রদর্শন করা হয় গাড়িটি।
নকশায়, আভিজাত্যে আর গাড়ির স্পেসিফিকেশনের সেই সময় অবাক করে দেয় ৩০০ এসএল গলউইং। জানা যায়, ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত উৎপাদন হওয়া এসএল গলউইংয়ের ৮০ শতাংশই গাড়িই যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হয়েছিল। ক্রেতাদের তালিকায় ছিলেন সে সময়কার তারকারাও। এই গাড়িই বিশ্বের প্রথম ফোর স্ট্রোক যাত্রীবাহী গাড়ি।
২১৫ অশ্বশক্তি (এইচপি) বা ১৫৮ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন গাড়িটির গতি ছিল ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার, যা ছিল সে সময়ের দ্রুততম গতির গাড়ি। শুধু গতি বা চোখধাঁধানো নকশা নয়, গাড়িটির ওজনও ছিল বেশ কম। মাত্র ৫০ কেজি। গাড়ির ওজন কমাতে গাড়িটিতে ব্যতিক্রম ধরনের দরজা ব্যবহার করা হয়। প্রচলিত দরজা চেয়ে ভিন্নধর্মী এ দরজা ওপর থেকে খুলে যেত, যার ফলে গাড়িটির নামকরণ করা হয় গলউইং। ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে এই গাড়িকে স্পোর্টস কার অব দ্য সেঞ্চুরি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সূত্র: মোটরট্রেন্ড ও মার্সিডিজ-বেঞ্জ