নিম্নমানের ইঞ্জিন অয়েল সাশ্রয়ে শুরু, সর্বনাশে শেষ!

মো. মুকুল হোসেনসংগৃহীত

যেকোনো গাড়ির ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা এবং দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করতে যন্ত্রাংশের সঠিক সুরক্ষা অপরিহার্য। এই সুরক্ষার মূল ভিত্তি হলো ইঞ্জিন অয়েল, যা গাড়ির সচলতাকে নির্বিঘ্ন রাখে। অন্যান্য লুব্রিকেন্ট, যেমন ট্রান্সমিশন/গিয়ার অয়েল, এটিএফ, ব্রেক-ফ্লুইড, গ্রিজ ইত্যাদিও যানবাহনকে নিরাপদে পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ইঞ্জিন অয়েলের গুরুত্ব: এক অদৃশ্য শক্তি

ইঞ্জিন অয়েলকে প্রায়ই ইঞ্জিনের ‘প্রাণ’ বলা হয়। এর কাজ অদৃশ্য হলেও এটি ইঞ্জিনের চলমান অংশগুলোকে মসৃণ রাখে, ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং নির্ভরযোগ্যভাবে চলতে সাহায্য করে। কিন্তু বাংলাদেশে, বিশেষ করে গাড়ির মালিকদের মধ্যে মানসম্পন্ন ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের বিষয়ে একধরনের উদাসীনতা দেখা যায়। অনেক গ্রাহক ইঞ্জিন অয়েলের মানের পার্থক্য বুঝতে না পেরে ভুল পণ্য নির্বাচন করেন, যা দীর্ঘ মেয়াদে গাড়ির কর্মক্ষমতা হ্রাস করে।

ভোক্তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ না বুঝেই নিম্নমানের, ভেজাল বা নকল ইঞ্জিন অয়েল বেছে নেন। তাঁরা প্রায়ই তাৎক্ষণিক সাশ্রয়কে অগ্রাধিকার দেন, দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা উপেক্ষা করেন। অবাক করার মতো বিষয় হলো, অনেকে স্বপ্নের গাড়ি কেনার জন্য বড় বাজেট রাখলেও মানসম্পন্ন ইঞ্জিন অয়েলের ক্ষেত্রে আপস করেন। চালকেরা সাধারণত গাড়ির সুপারিশকৃত গ্রেড বা ব্র্যান্ডের প্রতি অবহেলা করে কম দামি পণ্য বেছে নেন। অনেকেই অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার (OEM) দ্বারা সুপারিশকৃত নির্দিষ্ট ইঞ্জিন অয়েল গ্রেড সম্পর্কে অবগত নন এবং সময়মতো ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতেও অবহেলা করেন। আপাতদৃষ্টিতে এই ছোটখাটো ভুলগুলো দীর্ঘ মেয়াদে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

স্বল্পমেয়াদি সাশ্রয়, দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি

আসলে কি আমরা নিম্নমানের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করে সাশ্রয় করছি? সত্য হলো, স্বল্প মেয়াদে কিছুটা সাশ্রয় হলেও দীর্ঘ মেয়াদে এটি আসলে অনেক বেশি খরচের কারণ হয়। নিম্নমানের, ভেজাল বা নকল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের তাৎক্ষণিক পরিণতি হলো জ্বালানি দক্ষতা হ্রাস এবং ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশের দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি। এ ছাড়া ফিল্টারগুলোতে ব্লক সৃষ্টি হয়ে ইঞ্জিন অয়েলের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, যা ইঞ্জিনের ক্ষতির ঝুঁকি দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। গুরুতর ক্ষেত্রে, ব্যয়বহুল রক্ষণাবেক্ষণ বা এমনকি সম্পূর্ণ ইঞ্জিন পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।

ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন ক্লিন ট্রান্সপোর্টেশনের (আইসিসিটি) একটি সমীক্ষা অনুসারে, নকল যন্ত্রাংশ, যার মধ্যে ইঞ্জিন অয়েলও অন্তর্ভুক্ত, ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা ২০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে। এখন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে: আমরা কি ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতার সঙ্গে আপস করে ধাপে ধাপে খরচ বৃদ্ধির মুখোমুখি হতে চাই, নাকি মানসম্পন্ন ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করে ইঞ্জিনের দীর্ঘমেয়াদি কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই?

ইঞ্জিনের সর্বোত্তম কর্মক্ষমতার জন্য সঠিক ইঞ্জিন অয়েল

ইঞ্জিন অয়েলের কাজ শুধু মসৃণতা বজায় রাখা নয়। এর গঠন এবং প্রক্রিয়া বেশ জটিল। একটি মানসম্পন্ন ইঞ্জিন অয়েলের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার সক্ষমতা থাকা উচিত:

তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত তাপ থেকে ইঞ্জিনকে রক্ষা করা।

পরিষ্কার রাখা: ইঞ্জিনের অভ্যন্তরীণ অংশ থেকে ময়লা এবং কাদা দূর করা।

সিলিং করা: ইঞ্জিনের উপাদানগুলোর মধ্যে ফাঁকা স্থান পূরণ করে বাইরের দূষণ থেকে রক্ষা করা।

সুরক্ষা দেওয়া: ক্ষয় এবং মরিচা থেকে ধাতব অংশগুলোকে রক্ষা করা।

মসৃণ রাখা: ঘর্ষণ কমিয়ে যন্ত্রাংশের মসৃণ চলাচল নিশ্চিত করা।

সঠিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার ইঞ্জিনের সর্বোত্তম কর্মক্ষমতা, দীর্ঘায় এবং জ্বালানিসাশ্রয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিপরীতে, নিম্নমানের বা ভেজাল ইঞ্জিন অয়েল মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে; কারণ, সেগুলো তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, সিলিং, পরিষ্কার রাখা এবং সুরক্ষা প্রদানে ব্যর্থ হয়। অতএব সঠিক ইঞ্জিন অয়েল কীভাবে নির্বাচন করবেন, তা বোঝা অত্যন্ত জরুরি।

শুধু সঠিক ইঞ্জিন অয়েল নির্বাচন করলেই ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা নিশ্চিত হবে না, যতক্ষণ না আমরা সঠিক উপায়ে ব্যবহার করি। সময়মতো ইঞ্জিন অয়েল ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য আমাদের অয়েল ড্রেইন ইন্টারভাল (ওডিআই), অর্থাৎ ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তনের সময়ের ব্যবধান সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। ব্যবহৃত ইঞ্জিন অয়েলের ধরন এবং ড্রাইভিং। কন্ডিশনের ওপর ভিত্তি করে ওডিআই নির্ধারিত হয়, অথবা নির্দেশিত ওডিআইয়ের জন্য ইঞ্জিন প্রস্তুতকারকের ম্যানুয়াল অনুসরণ করা উচিত। আরেকটি পন্থা হলো নির্দিষ্ট পরিবেশ, রাস্তার অবস্থা, ট্রাফিক পরিস্থিতি ইত্যাদি বিবেচনা করে ওডিআই নির্ধারণ করা। সুতরাং, সর্বোত্তম কর্মক্ষমতার জন্য আপনার গাড়ির ইঞ্জিন প্রস্তুতকারকের নির্দেশনা মেনে সময়মতো ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করুন।

মোবিল ইঞ্জিন অয়েল
মোবিল ডটকম

উন্নত মানের ইঞ্জিন অয়েলের কর্মক্ষমতা যেসব বিষয়ের ওপর নির্ভর করে:

ক. ইঞ্জিন অয়েলে ব্যবহৃত বেজ অয়েলের ধরন এবং গ্রেডের প্রভাব:

রিফাইনিং সুবিধা থেকে প্রাপ্ত গ্রুপ-১, ২ এবং ৩ হলো মিনারেল বেজ অয়েল (তবে কিছু প্রতিষ্ঠান গ্রুপ-৩ বেজ ইঞ্জিন অয়েলকে সিন্থেটিক অয়েল হিসেবে বাজারজাত করে)।

সিন্থেটিক হাইড্রোকার্বন-ল্যাবরেটরি সংশ্লেষিত পণ্য থেকে প্রাপ্ত গ্রুপ-৪, ৫ এবং ৬ হলো ফুল সিন্থেটিক বেজ অয়েল।

বৈশিষ্ট্যে ফুল সিন্থেটিক বেস অয়েল (গ্রুপ-৪, ৫ এবং ৬) অনেক বেশি স্থিতিশীল এবং এর দ্বারা গঠিত ইঞ্জিন অয়েল উচ্চতাপমাত্রা, অক্সিডেশন এবং নাইট্রেশনে স্থিতিশীল এবং অনেক বেশি জ্বালানিসাশ্রয়ী। শুধু মানসম্পন্ন এবং আধুনিক পরিশোধনব্যবস্থা বেজ অয়েলের মান বাড়াতে সক্ষম।

খ. মানসম্পন্ন ইঞ্জিন অয়েলে অ্যাডিটিভের প্রভাব:

প্রথমত, কী ধরনের এবং কী মানের অ্যাডিটিভ ব্যবহার করা হয় তার ওপর নির্ভর করে।

পাশাপাশি, অভিজ্ঞতা, উন্নত গবেষণা ও প্রযুক্তি, দীর্ঘ ঐতিহ্য এবং নিজস্ব ফর্মুলেশনের অধীনে তৈরি হওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।

গ) সুপারিশকৃত ইঞ্জিন অয়েলের/ গেডের যথাযথ ব্যবহার:

অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারের (OEM)-এর অনুমোদন, যথাযথ API ও ভিসকোসিটি গ্রেড, ইঞ্জিন অয়েলের কর্মক্ষমতার প্রমাণ এবং ইঞ্জিনের ধরন অনুসারে ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা।

সহজলভ্যতা

ব্যবহৃত ইঞ্জিন অয়েলের নমুনা বিশ্লেষণ, পরিকল্পিত প্রকৌশল পরিষেবা দেওয়ার সক্ষমতাসহ বিক্রয়োত্তর পরিষেবা প্রদান।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, একই কাঁচামাল ব্যবহার করে নির্দিষ্ট ইঞ্জিন অয়েল তৈরি করলেও একই মানের না-ও হতে পারে। কারণ, এটি ব্লেন্ডিং প্ল্যান্টের পরিবেশ, প্রোপ্রাইটারি ফর্মুলেশন এবং আধুনিক ব্যবস্থাপনার ওপরও নির্ভরশীল।

ইঞ্জিন অয়েলের দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য

ভিসকোসিটি গ্রেড: ইঞ্জিন অয়েলের ভিসকোসিটি হলো তেলের প্রবাহ পরিমাপক, যা ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর মধ্যে একটি। মোটর অয়েলের ভিসকোসিটি মূলত এসএই (সোসাইটি অব অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ার্স) দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

এসএই ৩০, ৪০, ৫০ ইত্যাদি দিয়ে মনোগ্রেড এবং এসএই ০ডব্লিউ–৩০, ০ডব্লিউ–৫০, এসডব্লিউ–৫০ ইত্যাদি দিয়ে মাল্টিগ্রেড বোঝানো হয়।

ডব্লিউ দিয়ে উইন্টার বা শীতকালীন বোঝায় এবং সংযুক্ত সংখ্যাটি (যেমন: ৫ডব্লিউ) ঠান্ডা তাপমাত্রায় মাল্টিগ্রেড ইঞ্জিন অয়েলের প্রবাহের মান নির্দেশ করে; সংখ্যার মান যত কম, ঠান্ডা আবহাওয়ায় তো ভালো প্রবাহ।

সংখ্যাসূচক দ্বিতীয় সংখ্যা (যেমন ৩০, ৪০, ৫০) গ্রীষ্মের উচ্চ তাপমাত্রার ভিসকোসিটি নির্দেশ করে।

আপনার গাড়ির ম্যানুয়াল হলো নির্দেশিত ভিসকোসিটির জন্য চূড়ান্ত নির্দেশিকা।

এপিআই (আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট) রেটিং: ইঞ্জিন অয়েলের পারফরম্যান্স, মানের ওপর ভিত্তি করেও ভাগ করা হয় যেমন এআইএক্স এপিআই রেটিং সাধারণত দুটি অক্ষর দ্বারা প্রকাশ করা হয়, যেমন এসএন, এসপি অথবা সিএইচ–৪১।

প্রথম অক্ষরটি দিয়ে সাধারণত ইঞ্জিনের ধরনকে বোঝানো হয়। যেমন, 'এস'-স্পার্ক ইগনিশন (পেট্রল/অকটেন) এবং ‘সি’—কম্প্রেশন ইগনিশন চালিত (ডিজেল) ইঞ্জিন নির্দেশ করে।

দ্বিতীয় অক্ষরটি নির্দেশ করে গুণগতমান এবং পারফরম্যান্স স্তরকে। দ্বিতীয় অক্ষরটির অনুক্রম পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ইঞ্জিন অয়েলের উন্নত মানের নির্দেশক। অর্থাৎ দ্বিতীয় অক্ষরটির অবস্থান বর্ণমালায় যত শেষের দিকে, ইঞ্জিন অয়েলের মান উন্নত।

এপিআইয়ের পাশাপাশি দ্য ইন্টারন্যাশনাল লুব্রিকেন্ট অ্যাডভাইজরি কমিটি (আইএলএসএসি) আধুনিক সব ইঞ্জিনের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন মান প্রবর্তন করে থাকে, যেমন আইএলএসএসি–৬এ এবং আইএলএসএসি জিএফ–৬বি, আইএলএসএসি জিএফ–৭ ইত্যাদি।

যানবাহনের জন্য উপযুক্ত ইঞ্জিন অয়েল নির্বাচন: ১. ভিসকোসিটি এবং এপিআই গ্রেডের জন্য যানবাহনের সার্ভিস ম্যানুয়ালের নির্দেশিকা মেনে চলা, সেই সঙ্গে ওইএমের (মূল ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক) অনুমোদিত ইঞ্জিন অয়েল যদি থাকে, তা অনুসরণ করা।

২. যদি ম্যানুয়ালে এপিআই গ্রেড উল্লেখ না থাকে, তাহলে প্রস্তুতকারকের প্রস্তাবিত স্পেসিফিকেশন এবং পরিমিতি অনুসরণ করা এবং সঠিক ইঞ্জিন অয়েল নির্বাচনের জন্য ইঞ্জিন অয়েল ব্র্যান্ড বা বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞ প্রতিনিধির সঙ্গে পরামর্শ করা।

৩. ইঞ্জিন অয়েল ব্যান্ড নির্বাচনের সময় বিবেচনা করতে হবে প্রুফ অব পারফরম্যান্স (পিওপি) আছে কি না এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, গবেষণায় এগিয়ে, সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ করে নৈতিকতার সঙ্গে ব্যজারজাত করছে এমন ব্র্যান্ড।

৪. ধারাবাহিক এবং সময়োপযোগী সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, বিক্রয়োত্তর পরিষেবা, ইঞ্জিন অয়েলের পরীক্ষার জন্য বিশ্বমানের ল্যাবসুবিধা-সংবলিত প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।

৫. পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতাসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ এমন প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনা বিবেচনা করা। ৬. ক্রয়ের জন্য ইঞ্জিন অয়েল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বৈধ ও অনুমোদিত উৎস ব্যবহার করাও অত্যন্ত জরুরি।

আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে, যেকোনো ভুল সিদ্ধান্ত এড়াতে ক্রেতাকে সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে। দ্য মোটর অ্যান্ড ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এমইএমএ) একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ইঞ্জিন অয়েলসহ মোটরগাড়ির নকল যন্ত্রাংশের কারণে বিশ্বব্যাপী মোটরগাড়িশিল্পের বার্ষিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। এই উদ্বেগের আলোকে, টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য মানসম্পন্ন ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের গুরুত্ব সম্পর্কে ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য শিল্পোদ্যোক্তাদের আমরা দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।

লেখক: প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি (এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি মোবিল লুব্রিকেন্টের বাংলাদেশে একমাত্র আমদানিকারক, প্রস্তুতকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান)।