বৈদ্যুতিক গাড়ির সফটওয়্যার তৈরিতে একসঙ্গে কাজ করবে নিসান ও হোন্ডা
বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইলেকট্রিক্যাল ভেহিকেল বা ইভি) নির্মাণের দিকে ঝুঁকছে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান। গাড়ি তৈরি বা বিক্রি করলেই হচ্ছে না, বৈদ্যুতিক গাড়ির সঙ্গে অন্যান্য অনুষঙ্গ যেমন চার্জিং স্টেশন, সফটওয়্যার বেশ গুরুত্বপূর্ণ। একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এত কিছু নিয়ে বাজারে টেকা বেশ কঠিন। সেই বাস্তবতায় সফটওয়্যার ও চার্জিং সেবা দিতে নিসান ও হোন্ডা অংশীদারত্বের মাধ্যমে কাজ করবে বলে জানা গেছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি প্রতিষ্ঠান পরিকল্পনার কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি।
নিসান প্রথম দিকের ইভি প্রস্তুতকারকদের একটি প্রতিষ্ঠান। ২০১০ সালে নিসান বাজারে লিফ নামের বৈদ্যুতিক গাড়ি ছেড়েছিল। নিসান জাপানের আরেকটি গাড়ি প্রস্তুতকারক হোন্ডার সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানসম্মত স্বয়ংচালিত সফটওয়্যার ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করছে। খরচ কমানোর লক্ষ্য দুটি প্রতিষ্ঠান এক হয়ে কাজ করছে। চলতি বছরের মার্চে নিসান ও হোন্ডা বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের জন্য প্রথম কৌশলগত অংশীদারত্বের কথা জানায়। জাপানের বৃহত্তম এই দুই গাড়ি নির্মাতা এখন যৌথভাবে অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতে চাইছে।
নিসান ও হোন্ডা বৈদ্যুতিক গাড়ির দুনিয়ায় চার্জিং অবকাঠামো বাড়ানোর জন্য একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রযুক্তি–বিশ্লেষকেরা। বাজারে চীনের কম দামের বৈদ্যুতিক গাড়ির চাপে জাপানি গাড়ি নির্মাতারা পিছিয়ে পড়ছে। নিসান চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে বিশ্বব্যাপী ৫০ হাজারের মতো ইভি বিক্রি করেছে, যেখানে বিশ্বব্যাপী ১৪ লাখ গাড়ি বিক্রি হয়েছে। আবার হোন্ডা ২০২৪ সালের প্রথম তিন মাসে ৩ হাজার ১৯০টি ইভি বিক্রি করেছে। বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে হোন্ডা কিছুটা নতুন কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালে প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনার চেষ্টা করে। ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ২ মিলিয়ন ইউনিট গাড়ি বিক্রির লক্ষ্যে কাজ করছে হোন্ডা। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নতুন করে কৌশলে মাঠে নামছে জাপানি প্রতিষ্ঠান দুটি। এর আগে এ বছরের মে মাসে জেনারেটিভ এআই ও সেমিকন্ডাক্টরের জন্য টয়োটা, নিসান ও হোন্ডাসহ জাপানি বিভিন্ন ব্র্যান্ড নতুন প্রজন্মের গাড়ি তৈরির লক্ষ্যে কাজ করতে জাপান সরকারের এক কৌশলের সঙ্গে যুক্ত হয়।
সূত্র: অটোনিউজ