নির্মাতাদের জন্য নীতিমালা হালনাগাদ করেছে ভিডিও দেখার ওয়েবসাইট ইউটিউব। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কোনো নির্মাতা ইউটিউবের নীতিমালা লঙ্ঘন করে সতর্কবার্তা পেলে অনলাইনে প্রশিক্ষণ নিয়ে তা তুলে নিতে পারবেন। এর ফলে এখন থেকে নির্মাতারা সতর্কবার্তা বা স্ট্রাইক তুলে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
অ্যান আপডেট টু কমিউনিটি গাইডলাইনস ওয়ার্নিংস নামে এক বার্তায় নীতিমালা হালনাগাদের ঘোষণা দিয়েছে ইউটিউব। আগের নীতিমালা অনুসারে, নির্মাতার কোনো ভিডিওতে যদি নীতিমালা লঙ্ঘিত হয়, এ জন্য সতর্কতা বা স্ট্রাইক দেয় ইউটিউব। নীতিমালা লঙ্ঘন করা ভিডিও প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়েও নেওয়া হয়। এমনকি নির্মাতারা কখনো কখনো আধেয় প্রকাশও করতে পারেন না। ৯০ দিনের মধ্যে তিনবার স্ট্রাইক পেলে ইউটিউব চ্যানেল স্থায়ীভাবে মুছে ফেলা হয়।
নতুন নীতিমালা অনুসারে, ইউটিউবের নীতিমালা লঙ্ঘন করলে সেই ভিডিও প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলার নিয়ম থাকছে। তবে নির্মাতারা অনলাইনে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিয়ম লঙ্ঘনের সতর্কতা তুলে নিতে পারবেন। এসব প্রশিক্ষণে কোনো ভিডিওতে কী কারণে নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে, তা জানতে পারবেন নির্মাতারা। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে এ রকম নিয়ম লঙ্ঘনের ভুল করতে পারবেন না নির্মাতারা। ৯০ দিন পর কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করলে নিমার্তারা আবারও অনলাইনে প্রশিক্ষণ নিয়ে সতর্কতা তুলে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। ফলে স্ট্রাইক তুলে নেওয়ার বিষয়টি আরও সহজ হচ্ছে নির্মাতাদের জন্য।
সাধারণত নকল আধেয় তৈরি, আত্মহনন–সংক্রান্ত আধেয়, নিপীড়ন, হিংসাত্মক আধেয়, আপত্তিকর ও যৌন সংবেদনশীল আধেয়র জন্য স্ট্রাইক পেয়ে থাকেন নির্মাতারা।
২০১৯ সালে নির্মাতাদের জন্য নীতিমালা লঙ্ঘনে স্ট্রাইক সিস্টেম চালু করে ইউটিউব। নীতিমালা লঙ্ঘন করলে সতর্ক করা হয়। এর ফলে নির্মাতারা তাঁদের ভুলগুলো দেখতে পারেন। ইউটিউবের তথ্য অনুসারে, একবার সতর্কতা পাওয়ার পর ৮০ শতাংশের বেশি নির্মাতা একই ধরনের ভুল পরবর্তী সময়ে করেন না।
সূত্র: জেডডিনেট