ভাষা শেখাতে টিকটক

২৩ বছর বয়সী বেথানি ডেভিসের অনুসারী ৪৪ হাজার

ওয়েলসের ওয়েলশভাষীরা নিজেদের মাতৃভাষার প্রচারে ও অন্যদের ওয়েলশ শেখাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক ব্যবহার করছেন। এই মাধ্যম ব্যবহার করে ওয়েলশ ভাষা শিখতে আগ্রহীরা ওয়েলশ ভাষাপ্রেমীদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছেন।

ওয়েলসের কারমারদেনশায়ারের লানেলিতে বসবাস করেন ইতিহাসে স্নাতক ২৩ বছর বয়সী বেথানি ডেভিস। টিকটকে তাঁর ৪৪ হাজার অনুাসারী। তিনি টিকটকের জন্য ওয়েলশ ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে আধেয় (কনটেন্ট) তৈরি করেন। বেথানি যখন ছোট ছিলেন, তখন তাঁরা এ অঞ্চলে চলে আসেন। সে সময় ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ওয়েলশ ভাষায় পড়ানো হতো। এ জন্য তাঁর মা তখন ওয়েলশ ভাষা শিখেছিলেন। তাঁর মায়ের কাছ থেকেই তিনি অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। এরপর স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করলেও ওয়েলশ ভাষা ও সংস্কৃতি তিনি ভালোবাসতেন।

করোনায় স্বামীসহ ঘরবন্দী ছিলেন বেথানি। তাঁর স্বামী ভালো ওয়েলশ বলতে পারতেন না। তখন তিনি এ ভাষায় কথোপকথন না করতে পারায় শূন্যতা অনুভব করতেন। এ থেকেই টিকটকে ওয়েলশ ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ শুরু করেন বেথানি। টিকটক ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘টিকটকের ভিডিও স্বল্পদৈর্ঘ্যের ও মজার। এটিই মূলত টিকটকের অনন্য বিষয়, যার ফলে আপনি অন্যদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন।’

সৎমেয়েকে নিয়ে টিকটক অ্যাকাউন্ট চালান নিকি গ্যাম্বল

বেথানির মতো টনিরিফেলে বসবাসরত নিকি গ্যাম্বলও ওয়েলশ ভাষা নিয়ে টিকটকে আধেয় প্রকাশ করেন। তিনি স্কুল, কলেজে ওয়েলশ ভাষায় পড়াশোনা করতেন। তবে তাঁর পরিবার এ ভাষায় কথা বলতে পারেন না। তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ওয়েলশ ভাষা ব্যবহার করতেন। করোনায় টিকটকে যুক্ত হয়ে তিনি দীর্ঘদিন চর্চা না করা ওয়েলশ ভাষা নিয়ে তাঁর দক্ষতা প্রকাশ শুরু করেন।

তিনি বলেন, ‘স্কুল শেষে আমি আসলে তেমন ওয়েলশ ব্যবহার করতাম না। এরপর আমি দেখলাম টিকটক ভীষণ কাজের। এটি আমার পুরোনো জীবনটা ফিরিয়ে দিয়েছে।’ টিকটকে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ গ্যাম্বলকে অনুসরণ করেন।

সূত্র: বিবিসি