আমাদের দেশের মানুষ নিজেদের তথ্যের গোপনীয়তার বিষয়ে সচেতন নন। এর ফলে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য বেশি প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে সচেতন থাকার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার বিষয়ে দায়িত্বশীল হতে হবে। গত বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের তথ্য-উপাত্তের সুরক্ষা ও এর গোপনীয়তা নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বেসিস।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তথ্য সুরক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে বেসিস এবং লিগ্যালাইজড এডুকেশন বাংলাদেশ যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা এখন একটি বৈশ্বিক চিন্তার বিষয়। আমরা অনলাইনে যত উপস্থিতি বাড়াচ্ছি, ততই আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা কমছে। তাই আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।’
বেসিসের ডিজিটাল নিরাপত্তাবিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান লুতফর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশের তথ্য সুরক্ষা নীতিমালা বৈশ্বিক নীতিমালার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ, তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা তথ্য সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজনের পাশাপাশি প্রতি মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছি।’
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও লিগ্যালাইজড এডুকেশন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যারিস্টার তাসনুভা শেলীর সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. সাইমুম রেজা তালুকদার ও বেসিসের সচিব হাশিম আহম্মদ।