টিকটক কি বিক্রি হচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হতে পারে টিকটকফাইল ছবি

গত মঙ্গলবার থেকেই সারা পৃথিবীতে চাউর হয়েছে, ভিডিওভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক বিপদে পড়তে যাচ্ছে। চীনা তকমা থাকার কারণেই এমনটা ছড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের যে অংশ রয়েছে, তা বিক্রি না করলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে প্রতিষ্ঠানটি, এমন আইন পাস করা হয়েছে। টিকটকের চীনা মালিক বাইটড্যান্স অবশ্য বিক্রির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। বাইটড্যান্স এরই মধ্যে টিকটক বিক্রির কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে। আর বিক্রির যে রব উঠেছে, তা সত্য নয় বলে জানিয়েছে।

বাইটড্যান্স বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় ভিডিও অ্যাপ টিকটক বিক্রি করতে অথবা যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করার জন্য একটি আইন পাস করা হয়েছে। আইন পাস করা হলেও টিকটক বিক্রি করার কোনো ইচ্ছা নেই বাইটড্যান্সের। প্রতিষ্ঠানটি তাদের মালিকানাধীন আরেকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টৌটিয়াওতে এ কথা প্রকাশ করেছে।

এরই মধ্যে টিকটক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের টিকটকের বিরুদ্ধে সই করা বিলকে অসাংবিধানিক বলে জানিয়েছে। নতুন আইনকে আদালতের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করবে প্রতিষ্ঠানটি। চীনের বেইজিং কর্তৃপক্ষ টিকটকের মতো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোতে গোপনে নজর রাখে বলে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক দিন ধরে অভিযোগ রয়েছে। বাইটড্যান্সের ওপর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অনেক জল্পনা রয়েছে। টিকটক যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য চীনে পাচার করে বলে অভিযোগ করা হয়। যদিও টিকটক সব সময় নিজেদের আলাদা বলে দাবি করে। টিকটকে বাইটড্যান্সের মাত্র ২০ শতাংশ শেয়ার আছে বলে জানানো হয়েছে। আর বাকি শেয়ার বিনিয়োগকারীদের মালিকানাধীন। মার্কিন সংস্থা কার্লাইল গ্রুপ, জেনারেল আটলান্টিক ও সুসকেহানা ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের বিনিয়োগ আছে টিকটকে। বাইটড্যান্সের পরিচালনা পর্ষদের পাঁচ সদস্যের তিনজনই মার্কিন বলে জানা যায়।

সূত্র: বিবিসি