ওটিপি পাঠিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, সুরক্ষিত থাকতে যা করবেন
অনলাইন ব্যাংকিংয়ে সুবিধার পাশাপাশি বেড়েছে হ্যাকিংয়ের আশঙ্কাও। সম্প্রতি অনলাইনে আর্থিক লেনদেনে সাময়িক গোপন সংকেত বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) দিয়ে প্রতারণার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। তাই আর্থিক ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষিত থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু পদ্ধতি মেনে চললে ওটিপি প্রতারণা থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। দেখে নেওয়া যাক।
প্রথমত, আর্থিক তথ্যসংক্রান্ত যেকোনো এসএমএস বা ই–মেইল এলে তা যাচাই করে নিতে হবে। এসএমএস বা ই–মেইলের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ই–মেইল বা এসএমএসে কোনো লিংক যুক্ত থাকলে নিশ্চিত হয়ে সেটিতে ক্লিক করতে হবে। অস্বাভাবিক এসএমএস বা ই–মেইল হলে ব্যাংকে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, অনলাইন ব্যাংকিংয়ের জন্য ব্যবহৃত অ্যাপের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেমের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহার করতে হবে। অফিশিয়াল অ্যাপ স্টোর থেকেই ফোনে অ্যাপ নামাতে হবে। ভুয়া অ্যাপের মাধ্যমে ফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে ব্যাংক হিসাবের দখল নিতে পারে হ্যাকাররা।
তৃতীয়ত, অনলাইন ব্যাংকিং নিয়ে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেওয়া হালনাগাদ করা সাইবার সুরক্ষা নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
চতুর্থত, অনলাইন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের জন্য সম্ভব হলে ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ চালু করতে হবে।
পঞ্চমত, ব্যাংকের পরিচয়ে ফোনকলে অ্যাকাউন্টের নম্বর, পাসওয়ার্ড বা ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্য চাইলে সেসব প্রদানে বিরত থাকতে হবে। এমনকি ফোন করে ওটিপি চাইলেও সেটি প্রকাশ করা যাবে না। হ্যাকাররা ভুয়া ফোন কল করে ব্যবহারকারীদের কাছে এসব তথ্য চেয়ে হ্যাকিং করে থাকে।
ষষ্ঠত, ওয়াই–ফাই ব্যবহারে সাবধান হতে হবে। যতটা সম্ভব পাবলিক ওয়াই–ফাই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকাই ভালো। ওয়াই–ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে হ্যাকাররা হ্যাকিং করে থাকে।