বিশ্বজুড়ে দিন দিন সাইবার অপরাধের ঘটনা বেড়ে চলেছে। অপারেটিং সিস্টেম, সফটওয়্যার বা অ্যাপের পাশাপাশি ব্যবহৃত যন্ত্র বা অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা ত্রুটি কাজে লাগিয়ে সাইবার হামলা চালাচ্ছেন হ্যাকাররা। যৌনতার প্রলোভন বা সেক্সটরশন, র‍্যানসমওয়্যার ও ডি–ডস (ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়েল অব সার্ভিস) সাইবার হামলার ঘটনাও বেড়ে চলেছে ঘটছে। এসব সাইবার হামলা থেকে নিরাপদ থাকতে বেশ কিছু পদ্ধতি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা (ইন্টারপোল)। পরামর্শগুলো দেখে নেওয়া যাক—

র‍্যানসমওয়্যার

র‍্যানসমওয়্যার হচ্ছে ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর প্রোগ্রাম, যা কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা দূর থেকে কম্পিউটার বা ফোনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ‘মুক্তিপণ’ দাবি করে। এ আক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে যা করতে হবে—

  • কম্পিউটার বা ফোনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য অন্য যন্ত্রে নিয়মিত সংরক্ষণ করা।

  • শুধু অনুমোদিত উৎস বা অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ বা সফটওয়্যার নামিয়ে ব্যবহার করতে হবে।

  • অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহার।

  • শুধু পরিচিত ঠিকানা থেকে পাঠানো ই–মেইল বা বার্তার সঙ্গে যুক্ত ফাইল খুলতে হবে।

আরও পড়ুন

সাইবার হামলার কবলে ডোমেইন বিকিকিনির ওয়েবসাইট গোড্যাডি

যৌনতার প্রলোভন

সেক্সটর্শন বা যৌনতার প্রলোভন হল ডিজিটাল প্রতারণার একটি কৌশল। এর পদ্ধতিতে অপরাধীরা ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও বিনিময়ের জন্য প্রলোভন দেখায় এবং সেগুলো কাজে লাগিয়ে পরে প্রতারণা করে। শুধু তা–ই নয়, গোপন তথ্য ও ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করে অর্থও দাবি করে। তাই অনলাইনে ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও বা কোনো তথ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। ভুলবশত এ ধরনের প্রতারণার শিকার হলে যা করতে হবে—

  • সাইবার অপরাধীদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখতে হবে।

  • সাইবার অপরাধীদের কোনো প্রস্তাবে রাজি হওয়া যাবে না।

  • প্রমাণ সংরক্ষণের জন্য সাইবার অপরাধীদের সঙ্গে কথোপকথনের স্ক্রিনশট, সময়, তারিখ এবং ইউআরএল সংরক্ষণ করতে হবে।

  • পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে হবে।

আরও পড়ুন

চলতি বছর সাইবার হামলা বাড়বে

ডি–ডস আক্রমণ

সাধারণত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়েল অব সার্ভিস বা ডি–ডস আক্রমণ চালানো হয়। এ ধরনের আক্রমণে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে বা নেটওয়ার্কে ট্রাফিক বাড়িয়ে সার্ভারকে পুরোপুরি অচল করে দেওয়া হয়। ফলে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যায় না। এ ধরনের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে যা করতে হবে—

  • ওয়েবসাইটের ট্রাফিক ও নেটওয়ার্কের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

  • নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি হালনাগাদ প্রযুক্তি ব্যবহার করা।

  • ডি–ডস আক্রমণ সম্পর্কে ধারণা রাখার পাশাপাশি আক্রান্ত হলে করণীয় জানতে হবে।

আরও পড়ুন

নিরাপত্তাঝুঁকিতে লাখো ওয়েবসাইট