ই-ক্যাব নির্বাচন ২৬ জুলাই
দেশের ই-কমার্স খাতের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২৫-২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন হবে ২৬ জুলাই। নির্বাচনে ই-ক্যাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের ১১ পদে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে এরই মধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছেন ই-ক্যাবের প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল সেলের উপসচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলী। এ বিষয়ে তিনি আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি একটা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে। আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ। আমরা একটা সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারব।’
গত ৩১ মে ই-ক্যাব নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মে এক চিঠিতে নির্বাচন স্থগিত করে ই-ক্যাবের নির্বাচন বোর্ড। সে সময় এ বিষয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন সংগঠনের সদস্য ও প্রার্থীরা। ২৬ জুলাই ই-ক্যাব নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণার পর একাধিক ই-ক্যাব সদস্য প্রথম আলোকে বলেন,‘আমরা নির্বাচন চাই। আমাদের হয়ে সরকারের কাছে কথা বলুক নির্বাচিত প্রার্থীরা। আমাদের ই-কমাস খাতটি ধ্বংসের পথে। ব্যবসা তেমন একটা হচ্ছে না। নির্বাচন দ্রুত হয়ে গেলে সরকারের কাছে আমরা আমাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরতে পারব।’
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ‘টিম ইউনাইটেড’ ও ‘টিম টাইগার’ নামের দুটি প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২২ প্রার্থী। টিম টাইগার প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলির গ্রুপ সিইও ও গ্রিন ডাটা লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। মোহাম্মদ নূরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আসলে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পরে কোনো রকম প্রচারণা করছি না। ২৬ জুলাই পর্যন্ত শুধু অপেক্ষা করছি।’
টিম ইউনাইটেড প্যানেলের প্রার্থী মোছা জান্নাতুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার চূড়ান্ত করেছি, যেখানে ই-ক্যাব সদস্যদের সমসাময়িক সব চাহিদা ও সমস্যার বাস্তবসম্মত সমাধান উপস্থাপন করা হয়েছে। বিশেষ করে ভ্যাট–সংক্রান্ত জটিলতা ও পূর্বের অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো দ্রুত নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতি রয়েছে আমাদের ইশতেহারে। আমাদের বিশ্বাস, সদস্য ও ভোটারদের সম্মিলিত সমর্থনে ২৬ জুলাইয়ের নির্বাচন ই-ক্যাবকে একটি নতুন দিগন্তে পৌঁছে দেবে। ২৬ জুলাই হতে যাওয়া নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা ইতিমধ্যেই সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। টিম ইউনাইটেড অঙ্গীকার করছে যে আমরা ই-ক্যাবকে একটি কার্যকর, সমাধানমুখী ও যুগোপযোগী সংগঠনে পরিণত করব।’
নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তরফদার সোহেল রহমান। অন্য সদস্যরা হলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহাদৎ হোসেন ও মো. রেজাউল করিম।
প্রসঙ্গত, ই-ক্যাব নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৫০২ জন। তবে নির্বাচন স্থগিতের পরে নতুন করে ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও ৩৩৩ জন ভোটার। এর ফলে নির্বাচনে মোট ৮৩৫ জন ভোটার নিজেদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন করবেন।