ফেসবুকের সেফটি চেক ফিচার কী, কীভাবে কাজ করে

বাংলাদেশে ভূমিকম্পের পর সেফটি চেক ফিচার চালু করেছিল ফেসবুকস্ক্রিনশট

প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জরুরি সংকটের পরপরই দুর্গত এলাকার আশপাশে অবস্থান করা ব্যবহারকারীদের জন্য সেফটি চেক ফিচার চালু করে থাকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফিচারটির চালুর পর নোটিফিকেশন পাঠিয়ে দুর্গত এলাকার আশপাশে থাকা ব্যবহারকারীরা নিরাপদ আছেন কি না, তা জানতে চাওয়া হয়। ফলে সহজেই দুর্গত এলাকার মানুষজন দ্রুত অন্যদের কাছে তাঁদের নিরাপদ থাকার খবর প্রকাশ করতে পারেন। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জরুরি সংকটের সময় পরিচিত ব্যক্তিরা নিরাপদ রয়েছেন কি না, তা সহজেই ফেসবুকের মাধ্যমে জানা যায়।

২০১১ সালের জাপানের টোহোকু ভূমিকম্প ও সুনামির পরে সেফটি চেক ফিচার চালুর উদ্যোগ নেয় ফেসবুক। তৈরির সময় ফিচারটির নামকরণ করা হয়েছিল ডিজাস্টার মেসেজ বোর্ড। তবে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর সেফটি চেক নামকরণ করে ফিচারটি উন্মুক্ত করা হয়।

২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল‌ নেপালে ভূমিকম্পের পর সেফটি চেক ফিচার প্রথম বড় আকারে ব্যবহৃত হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশে আঘাত হানা ভূমিকম্পের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ও সন্ত্রাসী হামলার পর ফিচারটি চালু করে ফেসবুক। ২০১৫ সালের নভেম্বরে ফ্রান্সের প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলা ছিল প্রথম ঘটনা, যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, এমন ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সেফটি চেক ফিচার চালু করেছিল ফেসবুক। ২০১৬ সালের ২২ মার্চ ব্রাসেলসের একটি বিমানবন্দর ও রেলস্টেশনে বিস্ফোরণের পরও ফিচারটি চালু করা হয়েছিল।

সম্প্রতি বাংলাদেশে আঘাত হানা একাধিক ভূমিকম্পের পর সেফটি চেক ফিচার চালু করেছিল ফেসবুক। ফলে ফিচারটি ব্যবহার করে নিজেরা নিরাপদে রয়েছেন বলে জানানোর পাশাপাশি সহজেই পরিচিত ব্যক্তিদের তথ্য জানতে পেরেছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।

সূত্র: মেটা