৬–জি প্রযুক্তির চিপ তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা
সম্প্রতি বাণিজ্যিকভাবে ৫–জি প্রযুক্তিসেবা চালু হয়েছে বাংলাদেশে। ৫–জি প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত চিপের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুতগতির ৬–জি চিপ তৈরি করেছেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীদের দাবি, চিপটির গতি ঘণ্টায় ১০০ জিবিপিএস (গিগাবিট প্রতি সেকেন্ড) ছাড়িয়ে গেছে। ফলে ৫–জি প্রযুক্তিতে বর্তমানে ব্যবহারকারীরা যে গতি পান, তার প্রায় ৫০০ গুণ বেশি গতি পাওয়া যাবে এই চিপে। নতুন এই চিপ ভবিষ্যতের তথ্যনির্ভর পৃথিবীতে বিপ্লব ঘটাতে পারে।
চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়, হংকং সিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরি চিপটির আকার মাত্র ১১ বাই ১.৭ মিলিমিটার। আকারে ছোট হলেও চিপটি শূন্য দশমিক ৫ গিগাহার্টজ থেকে ১১৫ গিগাহার্টজ পর্যন্ত অতি বিস্তৃত ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে কাজ করতে পারে। সাধারণত এত বেশি ব্যান্ডউইডথে কাজ করতে আলাদা আলাদা যন্ত্রাংশ বা রেডিও ব্যান্ডের প্রয়োজন হয়। ৬–জি চিপের মূল শক্তি লুকিয়ে আছে নতুন ধরনের ইলেকট্রো-অপটিক মডুলেটরে। এটি রেডিও সংকেতকে দক্ষতার সঙ্গে অপটিক্যাল সংকেতে রূপান্তর করতে পারে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অপটো–ইলেকট্রনিক অসিলেটর। এটি অতি বিস্তৃত ব্যান্ডজুড়ে আবার ফ্রিকোয়েন্সি তৈরি করতে সক্ষম।
এ বিষয়ে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ওয়াং শিংজুন বলেন, ৬–জি উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন জরুরি হয়ে উঠেছে। দ্রুত বাড়তে থাকা সংযুক্ত যন্ত্রের চাহিদা সামাল দিতে আগামী প্রজন্মের নেটওয়ার্ককে বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের শক্তি কাজে লাগাতে হবে। উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড, যেমন মিলিমিটার-ওয়েভ ও টেরাহার্টজ বিপুল ব্যান্ডউইডথ ও অতি নিম্ন ধরনের লেটেন্সি দিতে সক্ষম। ভবিষ্যতে এ প্রযুক্তি ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি, দূরবর্তী অস্ত্রোপচার বা সূক্ষ্ম চিকিৎসার মতো অ্যাপ্লিকেশনের জন্য আদর্শ হয়ে উঠবে।
৫–জি নেটওয়ার্ক আদর্শ পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ ১০ জিবিপিএস পর্যন্ত গতি দিতে পারে। বাস্তবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে ব্যবহারকারীরা সাধারণত ১৫০ থেকে ৩০০ মেগাবিট প্রতি সেকেন্ডের মধ্যে গতি পান। অন্যদিকে নতুন ৬–জি চিপ ভবিষ্যতের নেটওয়ার্ক বদলে দিতে পারে। আলট্রা হাই-ডেফিনেশন ভিডিও স্ট্রিমিং, বাস্তবসম্মত মেটা ভার্স অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর নানা সেবা আরও দ্রুত গতিতে মিলবে।
সূত্র: এনডিটিভি