দ্রুত ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা গ্রহণ করার তাগিদ

ডিজিটাল ব্যাংকিং নিয়ে বেসিসের আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠক

সরকার ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকও প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ করছে। কিন্তু ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে সম্ভাবনার পাশাপাশি বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তা না হলে আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেসিস সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল ব্যাংক: সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এমন কথা বলেন।

বৈঠকটির আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। বৈঠকের মূল আলোচক ছিলেন টালি’পের প্রধান নির্বাহী শাহাদাত খান। তিনি বলেন, ‘আমাদের এগিয়ে যেতে হলে সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তিনির্ভর হতে হবে। প্রযুক্তিই আমাদের জীবন ও ব্যবসা এগিয়ে নিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। তাই যত দ্রুত ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা গ্রহণ করব, আমরা তত দ্রুত এগিয়ে যাব।’

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স যত বেশি উন্মুক্ত করা যায় ততই এ ক্ষেত্রে বেশি উদ্ভাবন আসবে। বাংলাদেশে প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তারা সফলভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবার ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে এসেছে। ডিজিটাল ব্যাংকগুলোও সেভাবেই প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের নেতৃত্বেই তৈরি করার সুযোগ তৈরি করতে হবে।’

গোলটেবিল বৈঠকের সঞ্চালক বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাসরুর বলেন, ডিজিটাল ব্যাংক শুধু সাধারণ ব্যাংকের উন্নত ডিজিটাল সংস্করণ ভাবলে ভুল হবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ডিজিটাল ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পেরেছে। কেননা সেখানে প্রযুক্তি মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তারাই এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমাদের দেশেও যদি গতানুগতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার মতো ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিমালা বা লাইসেন্স তৈরি করা হয়, তাহলে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য অর্জিত হবে না।

বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন জয়তুনের প্রধান ও ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী, প্রিয়-পের প্রধান জাকারিয়া স্বপন, ক্রেডিট কার্ড ভিসার পরিচালক সিরাজ সিদ্দিক, ডাটাসফটের প্রেসিডেন্ট মনজুর মাহবুব, সূর্যপের প্রধান ফিদা হক, ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সাব্বির হোসাইন প্রমুখ।