ভিডিও গেম তৈরি করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাল ১১ বছরের শিশু

গেম তৈরি করছে ম্যাক্স

মাত্র চার ঘণ্টায় পাঁচটি স্তরসহ একটি সম্পূর্ণ ভিডিও গেম তৈরি করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছে ওয়েলসের পেনার্থের ১১ বছর বয়সী এক শিশু। ম্যাক্স নামের শিশুটি গত মে মাসে চার ঘণ্টায় পাঁচটি স্তরসহ একটি সম্পূর্ণ গেম বানিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের জন্য আবেদন করেছিল। ছয় মাস পর গিনেস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, ম্যাক্সই বর্তমানে সবচেয়ে কম বয়সী পুরুষ ভিডিও গেম নির্মাতা। স্বীকৃতি পাওয়ার পর ম্যাক্স বলে, রেকর্ডটি তার কাছে অবিশ্বাস্য এক আনন্দের বিষয় এবং ভবিষ্যতে গেম ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্নপূরণের পথে এটি একটি বড় শুরু।

ম্যাক্সের বাবা ট্রেভর বেকার জানান, সাত বছর বয়সে প্রথম কোডিং শেখার পর থেকেই ম্যাক্সের গেমের বিষয়ে আগ্রহ বাড়তে থাকে। এর মধ্যেই ম্যাক্স নিজে কয়েকটি গেম তৈরি করেছে। ট্রেভর বলেন, ‘ম্যাক্স দেখল সবচেয়ে কম বয়সী নারী গেম নির্মাতার রেকর্ড আছে, কিন্তু পুরুষদের নেই। তখনই সে আবেদন করে। পরে গিনেস জানিয়েছে কী কী শর্ত মানতে হবে।’ গেমটি তৈরি করতে চার ঘণ্টা সময় লাগে। পুরো প্রক্রিয়াটি বিশেষজ্ঞের নজরদারিতে সম্পন্ন হয়, যাতে ম্যাক্স বাইরে থেকে কোনো সহায়তা না পায়। কাজটি হয় স্থানীয় মেকারস্পেসে। এটি ব্যারি ও পেনার্থ লাইব্রেরির অংশ হিসেবে পরিচালিত একটি ডিজিটাল সৃজনশীলতা কেন্দ্র।

ট্রেভর জানান, ভবিষ্যতে পেশাদার গেম নির্মাতা হওয়াই ম্যাক্সের লক্ষ্য। ইতিমধ্যে স্থানীয় গেম তৈরি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছে ম্যাক্স এবং এ খাতে কীভাবে প্রবেশ করা যায়, সে সম্পর্কে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। ভেল অব গ্ল্যামরগানের কাউন্সিলের ফেসবুক পেজে ম্যাক্সের রেকর্ড নিয়ে পোস্ট করার পর আইটি ও সফটওয়্যার খাতের কয়েকজন পেশাজীবী ম্যাক্সকে যোগাযোগ করতে বলেছেন। সুযোগগুলো উন্মুক্ত, আর ম্যাক্সও এসব কাজে লাগাতে আগ্রহী।

ফ্লিন্টশায়ারের মোল্ডের তরুণ ডেভেলপার ওসিয়েন টবম্যান এডওয়ার্ডসও কিশোর বয়সে আত্মশিক্ষার মাধ্যমে গেম তৈরি শুরু করেন। ১৪ বছর বয়সে রোবলক্সে গেম বানানো শুরু করে তিনি। পরবর্তী সময়ে ‘ব্যারিস প্রিজন রান’ নামের জনপ্রিয় গেম তৈরি করেন। এটি চার শ কোটির বেশি বার খেলা হয়েছে। ওসিয়েন জানান, গেম তৈরি শেখার মূল শক্তি আগ্রহ। এটা সবাই পারে না। এর জন্য আন্তরিক ভালোবাসা লাগে। ইউটিউব শেখার পথ অনেক সহজ করে দিয়েছে। আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হতো, এখন ভিডিও দেখে শেখা যায়।

সূত্র: বিবিসি

https://www.bbc.com/news/articles/c17p4prj8qgo