বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের প্রতিষ্ঠা

সাশ্রয়ী মূল্যে টেলিযোগাযোগ–সুবিধা নিশ্চিত করতে ২০০২ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) যাত্রা শুরু করে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিটিআরসির প্রধান কার্যালয়বিটিআরসির ওয়েবসাইট থেকে

৩১ জানুয়ারি ২০০২
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের প্রতিষ্ঠা
সাশ্রয়ী মূল্যে টেলিযোগাযোগ–সুবিধা নিশ্চিত করা এবং ২০১০ সাল নাগাদ দেশের প্রতি ১০০ জনের অন্তত ১০ জনকে টেলিযোগাযোগ–সেবার অন্তর্ভুক্ত করতে ২০০২ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) যাত্রা শুরু করে। বিটিআরসি বাংলাদেশের একটি স্বাধীন কমিশন, যা বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ–ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ এবং টেলিযোগাযোগ–সেবা নিয়ন্ত্রণের কাজ করে থাকে। বিটিআরসি বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগের সব বিষয়, যেমন সেলুলার (মোবাইল) নেটওয়ার্ক, পিএসটিএন, কৃত্রিম উপগ্রহ, কেব্‌ল ইত্যাদির রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট-সংশ্লিস্ট সব সেবাদাতাকে লাইসেন্স প্রদান করে থাকে বিটিআরসি।

বিটিআরসির লোগো

বিটিআরসি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ১৮ নম্বর আইন) দিয়ে গঠিত। আইনটি ২০১০ সালে টেলিযোগাযোগ আইন (সংশোধন) বিলের মাধ্যমে হালনাগাদ করা হয়েছে। বিটিআরসির প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকায় বিটিআরসির প্রধান কার্যালয়। যেকোনো গ্রাহক বিটিআরসির ১০০ নম্বরে ফোন করে ২৪ ঘণ্টা টেলিযোগাযোগ-সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ জানাতে পারেন। গত বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী দেশে এখন মুঠোফোনের গ্রাহক ১৯ কোটি ৮১ হাজার ও ইন্টারনেটের গ্রাহক ১৩ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার।

সূত্র: বিটিআরসির ওয়েবসাইট

ফোনে আড়ি পাতা প্রতিরোধে বিশেষ চিপ তৈরি করা হয়
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডট ওআরজি

৩১ জানুয়ারি ১৯৯৫
টেলিফোনে আড়ি পাতা প্রতিরোধের উদ্যোগ
যুক্তরাষ্ট্রের টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান এটিঅ্যান্ডটি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বেল ল্যাবরেটরিজ ও ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি) নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিএলএসআই টেকনোলজি টেলিযোগাযোগের যন্ত্রকে আড়ি পাতার হাত থেকে রক্ষা করার একটি কৌশল প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়। নিরাপত্তা চিপসহ আরও কিছু কৌশল বের করে মুঠোফোন (সেলুলার ফোন) ও ইন্টারনেট যোগাযোগে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলো আড়ি পাতার মতো সমস্যা যাতে প্রতিহত করতে পারে, সেটি ছিল এই কৌশলগত পরিকল্পনার উদ্দেশ্য।

প্যাকার্ড বেলের একটি ল্যাপটপ
সংগৃহীত

৩১ জানুয়ারি ২০০৮
আনুষ্ঠানিকভাবে প্যাকার্ড বেল অধিগ্রহণ করে এসার
১৯৮০-এর দশকে প্রতিষ্ঠত মার্কিন কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্যাকার্ড বেল অধিগ্রহণ করে তাইওয়ানের কম্পিউটার নির্মাতা এসার ইনকরপোরেটেড। এর আগের বছর, অর্থাৎ ২০০৭ সালের আগস্টে এসার আরেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গেটওয়ে কিনে নিয়েছিল। প্যাকার্ড বেল অধিগ্রহণের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইউরোপে চীনা প্রতিষ্ঠান লেনোভোর বাজার সম্প্রসারণ ঠেকানো। ২০০৮ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এসার প্যাকার্ড বেল অধিগ্রহণ সম্পন্ন করে। কত টাকায় চুক্তি হয়েছিল, তা প্রকাশ করেনি এসার। তবে মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তির হাতেই উঠেছিল নগদ ৪ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার।