প্রথম পারমাণবিক চুল্লির নকশা করলেন এনরিকো ফামি

শিকাগো পাইল-১ (সিপি-১) নামে পৃথিবীর প্রথম কৃত্রিম পারমাণবিক চুল্লি (নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর) নকশা করেন ইতালীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী এনরিকো ফামি।

সিপি-১ পারমাণবিক চুল্লিউইকিমিডিয়া

২ ডিসেম্বর ১৯৪২
পৃথিবীর প্রথম পারমাণবিক চুল্লির নকশা করলেন এনরিকো ফামি
শিকাগো পাইল-১ (সিপি-১) নামে পৃথিবীর প্রথম কৃত্রিম পারমাণবিক চুল্লি (নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর) নকশা করেন ইতালীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী এনরিকো ফামি। ১৯৪২ সালের ২ ডিসেম্বর মানুষের তৈরি প্রথম পারমাণবিক চুল্লি যুক্তরাষ্ট্রে ইলিনয় রাজ্যের শিকাগোতে স্থাপন করা হয়। সেদিন থেকে এই চুল্লি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিউক্লিয়ার চেইন রিঅ্যাকশন শুরু করে।

এনরিকো ফামি
এনরিকো ফামি

মূলত গবেষণার জন্যই সিপি-১ পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন করা হয়েছিল। এটি ১৯৪২ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। প্রাকৃতিক ইউরেনিয়াম ছিল এর জ্বালানি। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানহাটান প্রকল্প সিপি-১ পারমাণবিক চুল্লি ব্যবহার করা হয়েছিল।

মার্কিন নৌবাহিনীর এনওআরসি
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি

২ ডিসেম্বর ১৯৫৪
মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য ক্যালকুলেটর
মার্কিন নৌবাহিনী তাদের নেভাল অর্ডন্যান্স রিসার্চ ক্যালকুলেটর (এনওআরসি) যন্ত্রকে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার নেভাল সারফেস উইপনস সেন্টারের জন্য নির্দিষ্ট করে দেয়। ওয়াটসন সায়েন্টিফিক কম্পিউটার ল্যাবরেটরিতে ওয়ালেস এককার্টের নির্দেশনায় এই যন্ত্র তৈরি হয়েছিল। এই যন্ত্রের চাহিদা জানিয়েছিল বেশ কিছু মার্কিন প্রতিষ্ঠান। পদার্থবিজ্ঞানী এডওয়ার্ড পারমাণবিক গণনার জন্যও এই যন্ত্র চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মার্কিন নৌবাহিনীকে এনওআরসি দেওয়া হয়।

কৃত্রিম হৎপিন্ড
উইকিমিডিয়া

২ ডিসেম্বর ১৯৮২
মানুষের শরীরে প্রথম স্থায়ী কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন
মার্কিন বিজ্ঞানী, গবেষক ও উদোক্তা রবার্ট জারভিক প্রথম সফল কৃত্রিম হৃৎপিণ্ডের উদ্ভাবক হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। ১৯৮২ সালের ২ ডিসেম্বর বারনি ক্লার্কের শরীরে তাঁর তৈরি ‘জারভিক ৭’ কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন। এ ঘটনা বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।

কৃইকটাইম
অ্যাপল

২ ডিসেম্বর ১৯৯১
অ্যাপলের কুইকটাইম প্রকাশিত
বিভিন্ন ধরনের অডিও–ভিডিও ফাইল চালানোর জন্য কুইকটাইম মিডিয়া প্লেয়ার নামের সফটওয়্যার প্রকাশ করে অ্যাপল কম্পিউটার। এটি দিয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে স্ট্রিমিং, এনকোডিং, ট্রান্সকোডিং করা যেত। অ্যাপল মেকিন্টোশ ও উইন্ডোজ—দুই ঘরানার অপারেটিং সিস্টেমেই চলত এটি। বেশ কয়েক বছর পর কুইকটাইম বন্ধ হয়ে যায়।